সবুজ ত্রিপুরা
১১ জানুয়ারি
মঙ্গলবার
বিশালগড় প্রতিনিধিঃ বুড়ি ঘর (বা)আলন্তি ঘরের বনভোজন।এমনটা প্রত্যক্ষ করা যায় কেবল বাংলা বছরের পৌষ মাসে।তবে বিভিন্ন মানুষজন বুড়ির ঘর বলেন আবার কেউবা আলন্তি ঘর বলেন।
বিজ্ঞান যুগে বুড়ির ঘর বিলুপ্তির পথে। কেবল গ্রামীণ এলাকাগুলিতে পৌষ পর্বের বুড়ির ঘর দেখা যায়। তবে পৌষ সংক্রান্তিতে শহর এলাকাতেও কচিকাঁচারা বনভোজনে মেতে ওঠে। কিন্তু বুড়ির ঘর দেখা যায় না। কারণ বিজ্ঞান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে শহর এলাকায় বনভোজনের নামে ফেন্টাসি প্রত্যক্ষ করা যায়।
আর প্রাচীনকালের বাস্তব চিত্র পাওয়া যায় গ্রামীন এলাকাগুলিতে। পৌষ সংক্রান্তির বুড়ির ঘর কিংবা আলন্তি ঘর প্রাচীন ঐতিহ্য। সোমবার বুড়ির ঘর এর বাস্তব চিত্র পাওয়া গেল তেলিয়ামুড়া শহর থেকে প্রায় বারো কিলোমিটার দূরে মানিক বাজার সংলগ্ন রমাকান্ত পাড়ায়। সেখানে গিয়ে প্রত্যক্ষ করা গেল এলাকার জনজাতি অংশের কচিকাঁচারা মিলে বুড়ির ঘর তৈরি করছে। উদ্দেশ্য পৌষ সংক্রান্তির রাতে নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে বনভোজন করা। কচিকাঁচারা খর এবং বাঁশ বেত দিয়ে ঘর তৈরি করছে বনভোজন করার জন্য।
আদতে প্রাচীন ঐতিহ্যকে ধরে রাখা। বছরে একটি দিনেই এমন বাস্তব চিত্র পাওয়া যায় পৌষ সংক্রান্তির রাতে। হাতে সময়ও কম তাই উঠতি বয়সের কচিকাঁচারা বুড়ির ঘর তৈরি করে রেখেছে আগাম ভাবে। আর দুই একদিন পরেই কচিকাঁচারা বুড়ির ঘরে বনভোজনে মেতে উঠবে। আর কচিকাঁচাদের মধ্যে এ যেন এক অনাবিল আনন্দ।
0 মন্তব্যসমূহ