প্রতন্ত এলাকার গিরিবাসীদের আয়-উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম হলো জঙ্গল থেকে বাঁশ কাটা ও লাকরি সংগ্রহ করা-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা 
২৫ জানুয়ারি
মঙ্গলবার
তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ  সরকারিভাবে রেশন সামগ্রী পেলেও তা দিয়ে সংসার প্রতিপালন করা কষ্টকর। তাই পেটের তাগিদে জঙ্গল থেকে বাঁশ ও লাকড়ি সংগ্রহ করে বাজারে এনে বিক্রি করতে হয়। 

তাদের উদ্দেশ্যে উপার্জন বৃদ্ধি করা।যাতে আর পাঁচটা মানুষের মতোই সুন্দর ভাবে খেয়ে বেঁচে থাকতে বা জীবন কাটানো যায়। কথা হচ্ছিল মুঙ্গিয়াকামী আর.ডি ব্লকের অধীনে প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসকারী আদিবাসীদের সাথে। বিশেষ করে এই ব্লকের অধীনে গুলিছড়া,খাকলাই,বিলাইকাং, এলাকার গিরিবাসীদের আয়-উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম হলো জঙ্গল থেকে বাঁশ কাটা, লাকরি সংগ্রহ করা। ওইসব সংগ্রহ করা বাঁশ ও লাকড়ি খোয়াই নদীর জলস্রোতকে ব্যাবহার করে বাঁশ ও লাকড়ি চাকমাঘাট বাজারে নিয়ে আসে। 

আবার উপজাতি গিরিবাসীরা নৌকার মাধ্যমে লাকড়ি চাকমাঘাটে নিয়ে আসে।যোগাযোগ মাধ্যম হিসাবে পিচঢালা রাস্তা থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া অর্থাৎ গাড়িযোগে তাঁরা নিয়ে আসে না লাকড়ি এবং বাঁশ গিরিবাসীরা। কারণ উপজাতি গিরি বাসীরা গাড়ি ভাড়া দিতে অসমর্থ। আবার বিলাইকাং এবং খাংলাই, এলাকায় তেমন কোনো রাস্তাঘাট গড়ে তুলতে ব্যার্থ এ.ডি.সি প্রশাসন। 
যার ফলে ওইসব এলাকার গিরি বাসীরা নৌকার মাধ্যমে যাতায়াত করতে হয়। ওইসব গিরি বাসীরা নৌকাযোগে লাকড়ি চাকমা ঘাট বাজারে এনে মহাজনদের কাছে বিক্রি করে। পরে চাকমা ঘাট থেকে সেই লাকড়ি শহরে আসে। আদতে সরকার অদল বদল হলেও ওই সব গিরি বাসীদের ভাগ্যের চাকা ঘুরে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu