রহস্যজনকভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু এক ১৯ বছরের এক গৃহবধ-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা 
২৫ জানুয়ারি
মঙ্গলবার
তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ অষ্টমঙ্গলায় বেড়াতে এসে রহস্যজনকভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু এক ১৯ বছর বয়সি গৃহবধূর। ঘটনা তেলিয়ামুড়া থানা এলাকার ডি.এম কলোনি এলাকায়, সোমবার সাতসকালে। 

ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য। খবরে প্রকাশ, তেলিয়ামুড়া থানা এলাকার ডি.এম কলোনি এলাকার বাসিন্দা জুনু মন্ডলের ১৯ বছর বয়সি মেয়ে পূজা মন্ডলের সঙ্গে আমবাসা থানা এলাকার বাসিন্দা শান্তু সরকারের বিয়ে হয় অগ্রহায়ণ মাসের ৪ তারিখে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সংসারিক জীবনে এক টান টান অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। গত সোমবার আমবাসা স্থিত শ্বশুরবাড়ি থেকে অষ্টমঙ্গলায় তেলিয়ামুড়া ডি.এম কলোনি এলাকায় নিজের বাপের বাড়িতে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে এসেছিল পূজা। কিন্তু অষ্টমঙ্গলায় বেড়াতে এসে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোন এক বিষয় নিয়ে রবিবার রাতে বাকবিতন্ডা চরম পর্যায়ে পৌঁছালে একটা সময় শান্তু বাড়ি থেকে বেরিয়ে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যায়। এর ফলেই মা মেয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং বাকবিতণ্ডা চরম পর্যায়ে পৌঁছায় এক রহস্যজনক কারণে। এরপরই রহস্যজনকভাবে সোমবার সাত-সকালে  নিজ বাপের বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হয় ওই নববধূর। 

এরপর পরিবারের লোকজন এবং এলাকাবাসীরা খবর পাঠায় তেলিয়ামুড়া অগ্নিনির্বাপক দপ্তরে। ঘটনার খবর পেয়ে তেলিয়ামুড়া অগ্নিনির্বাপক দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থল গিয়ে নববধূর ঝলসানো দেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে। অপরদিকে গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে গৃহবধূর স্বামী তথা শান্ত'কে এ বিষয় সম্পর্কে জানানো হয় যে তার স্ত্রী হাতের শিরা কেটেছে এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক এই খবর পেয়ে সে দ্রুত তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে পৌঁছানোর পর দেখতে পায় তার স্ত্রীর ঝলসানো দেহ। পরবর্তীতে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক পূজাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। সঙ্গে সঙ্গে মৌখিক অভিযোগ পেয়ে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায় পূজার স্বামী শান্ত'কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।এদিকে গৃহবধূর মা অভিযোগ করে জানিয়েছেন,, শ্বশুরবাড়িতে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হতো নববধূ পূজা। এর জের ধরেই সোমবার সাতসকালে পূজার আত্মহত্যা।অপরদিকে গৃহবধূর স্বামী জানিয়েছেন,, বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে টানাপোড়ন চলছিল। স্বামী কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পর থেকেই স্ত্রী সর্বদা মুখ ভার করে রাখতো। তবে এর পেছনে কি রয়েছে অন্য কোন রহস্য  নাকি প্রণয়ঘটিত কোন সম্পর্কের রেশ ধরেই মৃত্যু হলো ওই গৃহবধূর।
গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, এ বিষয়ে তারা তেলিয়ামুড়া থানার দ্বারস্থ হবে গৃহবধূর পরিবারের লোকজন। সাত সকালে গৃহবধূ অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ঘটনাকে ঘিরে গোটা তেলিয়ামুড়া ডি.এম কলোনি এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu