এরপর পরিবারের লোকজন এবং এলাকাবাসীরা খবর পাঠায় তেলিয়ামুড়া অগ্নিনির্বাপক দপ্তরে। ঘটনার খবর পেয়ে তেলিয়ামুড়া অগ্নিনির্বাপক দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থল গিয়ে নববধূর ঝলসানো দেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে। অপরদিকে গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে গৃহবধূর স্বামী তথা শান্ত'কে এ বিষয় সম্পর্কে জানানো হয় যে তার স্ত্রী হাতের শিরা কেটেছে এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক এই খবর পেয়ে সে দ্রুত তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে পৌঁছানোর পর দেখতে পায় তার স্ত্রীর ঝলসানো দেহ। পরবর্তীতে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক পূজাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। সঙ্গে সঙ্গে মৌখিক অভিযোগ পেয়ে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায় পূজার স্বামী শান্ত'কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।এদিকে গৃহবধূর মা অভিযোগ করে জানিয়েছেন,, শ্বশুরবাড়িতে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হতো নববধূ পূজা। এর জের ধরেই সোমবার সাতসকালে পূজার আত্মহত্যা।অপরদিকে গৃহবধূর স্বামী জানিয়েছেন,, বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে টানাপোড়ন চলছিল। স্বামী কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পর থেকেই স্ত্রী সর্বদা মুখ ভার করে রাখতো। তবে এর পেছনে কি রয়েছে অন্য কোন রহস্য নাকি প্রণয়ঘটিত কোন সম্পর্কের রেশ ধরেই মৃত্যু হলো ওই গৃহবধূর।
গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, এ বিষয়ে তারা তেলিয়ামুড়া থানার দ্বারস্থ হবে গৃহবধূর পরিবারের লোকজন। সাত সকালে গৃহবধূ অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ঘটনাকে ঘিরে গোটা তেলিয়ামুড়া ডি.এম কলোনি এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ