ধর্ষণকারীর কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে এবার থানা ঘেরাও-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা 
৪ জানুয়ারি

মঙ্গলবার

তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ ধর্ষণকারীর কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে এবার থানা ঘেরাও এ শামিল  তেলিয়ামুড়া থানা এলাকার করকড়ি এলাকার গ্রামবাসীরা। অপরদিকে 

মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের নিকট এস.এফ.আই এবং ডি.ওয়াই.এফ.আই-এর তরফ থেকে এক প্রতিনিধি দল ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত'কে কঠোর শাস্তির দাবিতে ডেপুটেশন প্রদান করে মঙ্গলবার সকালে।খবরে জানা যায়, চলতি মাসের ১ তারিখ অর্থাৎ ১ জানুয়ারি তেলিয়ামুড়া থানা এলাকার তুইসিন্দ্রাই করকড়ি এলাকায় ধর্ষণের শিকার 

হয়েছিল এক ১৩ বছর বয়সি নাবালিকা। সেই নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছিল একই এলাকার শাসক দলীয় নেতা তথা তুইসিন্দ্রাই শক্তি কেন্দ্রের এক নেতৃত্ব সুভাষ রুদ্রপালের ভাষ্তপুত্র প্রানেশ রুদ্রপাল এবং তাকে সহায়তা করেছিল এলাকার অপর আরেক যুবক প্রসেনজিৎ মালাকার এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীদের।পরবর্তীতে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ  সোমবার রাতে অভিযুক্ত তথা ধর্ষক প্রাণেশ রুদ্রপাল'কে গ্রেফতার করে তেলিয়ামুড়া থানায় নিয়ে আসে। ধর্ষকের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে এবং ধর্ষকের সঙ্গে সহায়তাকারী প্রসেনজিৎ মালাকার'কে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে তেলিয়ামুড়া থানাঘেরাও করে মঙ্গলবার সকালে। অপরদিকে ধর্ষক প্রাণেশ রুদ্রপালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এস.এফ.আই এবং ডি.ওয়াই.এফ.আইয়ের পক্ষ থেকে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোনা চরণ জমাতিয়ার নিকট এক ডেপুটেশন প্রদান করে। এবং দাবি জানানো হয় যেন ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হয়।এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ডি.ওয়াই.এফ.আই  মহকুমা কমিটির সম্পাদক রঞ্জু দাস বলেন,, আমরা দেখেছি বিগত দিনে তেলিয়ামুড়া মহকুমায় মহারানীপুর এলাকায় ধর্ষণের শিকার হয়েছিল এক নাবালিকা এবং উত্তর মহারানী এলাকায় উপজাতি এক কন্যা ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। এ বিষয়গুলি নিয়ে আমরা আজকে মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেছি। এবং করকড়ি এলাকায় যে ১৩ বছর বয়সি নাবালিকা ধর্ষণের শিকার হয়েছে ওই নাবালিকার পরিবার যেন আইনিভাবে সাহায্য-সহযোগিতা পায় তার জন্য দাবি জানানো হয়েছে।একটা সময় তেলিয়ামুড়া থানায় 

এলাকাবাসীদের আন্দোলন তেজী হতে থাকে। ঘটনার খবর যায় তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোনাচরণ জমাতিয়ার নিকট। পরবর্তীতে মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের আশ্বাসে থানা ঘেরাও মুক্ত হয় মঙ্গলবার বারোটা নাগাদথানা ঘেরাও করতে আসা করকড়ি এলাকার মহিলারা অভিযোগ করে বলেন,,, শাসক দলের নেতার ভাতুষ্পুত্র হওয়ার সুবাদে প্রানেশ এলাকায় বহু অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। সেক্ষেত্রে কোন প্রকার সুষ্ঠ-বিচার পাচ্ছে না এলাকার সাধারণ মানুষ জন। এককথায় প্রানেশের কারণে অতিষ্ঠ এলাকার সাধারন জনগন। চাইছে ধর্ষকের উপযুক্ত শাস্তি যেন প্রদান করে মহামান্য আদালত।পরবর্তীতে মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রানেশ রুদ্রপাল'কে খোয়াই আদালতে প্রেরণ করা হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu