কুয়াশায় চাদরে ঢাকা সীমান্ত এলাকা বিএসএফ জওয়ানরা কর্তব্যে হিমশিম-Sabuj Tripura

সবুজ ত্রিপুরা 
৪ জানুয়ারি

মঙ্গলবার

বক্সনগর প্রতিনিধিঃ  এক দিকে রাত অন্যদিকে কোন কুয়াশাঢাকা সীমান্ত এলাকা। প্রচন্ড শীতের দাবদাহকে উপেক্ষা করে ঘন কুয়াশার ঢাকা সীমান্ত এলাকা গুলিতে কর্তব্য পালনে ব্যস্ত বিএসএফ জওয়ানরা। বাংলায় একটা 

প্রবাদ আছে মাঘের শীতে বাঘে খায়।তবে এই বছর মাঘ মাস আসার আগেই শীতে থর থর গ্রাম্য এলাকা গুলিতে। সীমান্ত রক্ষীবাহিনীরা প্রচন্ড শীত ও কুয়াশায় ঢাকা থাকলেও সীমান্তে পাহারারত, সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে। গত কয়েকদিন যাবত সোনামুড়া মহাকুমার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকাগুলোতে শীত সহ ঘন কুয়াশায় ঢাকা। একদিকে শীত অন্যদিকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা। এককথায় কুয়াশার চাদরে ঢাকা সীমান্ত এলাকা।আবার অপরদিকে সীমান্তে পাচারকারীদের বাড়বাড়ন্ত।একটি সূত্রে জানা গেছে সিপাহীজলা জেলার সীমান্ত এলাকা গুলি পাচারকারীর 

করিডর।তা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ অফিসারদের নজরেও আছে। গত দুমাস ধরে সোনামুড়া সীমান্তের ১৫০ ব্যাটেলিয়ান বিএসএফ জওয়ানরা আসার পর থেকেই  পাচারকারীরা বেকাদায় পড়ে গেছে।কিছু কিছু জায়গায় পাচারকারীরা দুঃসাহসে পাচার করতে গেলেও তা ধরা পড়ে যাচ্ছে বিএসএফের কাছে।গত দুমাসে বিএসএফের সাফল্য অতুলনীয়। কিন্তু গত কয়েকদিন যাবত কুয়াশা ঢাকা সীমান্ত পাহারা দিতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে।কারণ বক্সনগর এলাকায় মোট ১৩ টি বিও পি থাকলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে জোয়ান নেই। জানা গেছে মোট ১৩ টি বি ও পি তেই সর্বমোট ১৫০ জন জোয়ান রয়েছে।বিশালগড় কমলাসাগর থেকে শুরু করে সোনামুড়া এন সি নগর পর্যন্ত মোট ১৩ টি বি ও পি রয়েছে।এই বি ও পি গুলি হল কমলাসাগর,কামথানা,পুটিয়া,রহিমপুর,আশাবাড়ি,বক্সনগর,কলশীমুড়া,কলমচৌড়া,গলাচিপা,আনন্দপুর,মতিনগর,কুলু

বাড়ি, ও এন সি নগর।১৩ বি ও পি তে মোট ১৫০ জন বিএসএফ জওয়ান রয়েছে। বিএসএফের কথা অনুযায়ী জানা যায় এই সীমান্ত এলাকাগুলোতে ডিউটি করতে গিয়ে ৫০০ মিটার দূর দূর এক এক জন জোয়ান থাকা দরকার। কিন্তু তার জায়গায় প্রায় এক কিলোমিটার দুর দুর বিএসএফ জওয়ানরা সীমান্ত পাহারারত থাকে।তাই ঘন কুয়াশায় তাদের ডিউটি করতে অনেকটা অসুবিধার সম্মুখীন হয়।কমলাসাগর থেকে এনসি নগর পর্যন্ত প্রায় ১০০ টি সীমান্ত কাঁটাতারের বেড়ার গেট রয়েছে। সীমান্তে পর্যাপ্ত পরিমাণে জোয়ান না থাকায় বর্তমানে একটি গেটে 1জন জোয়ান পাহারারত থাকেন। শুভ অভিজ্ঞ মহলের ধারণা এই সীমান্ত গুলিতে আরো পর্যাপ্ত পরিমাণে জোয়ান থাকা প্রয়োজন।একদিকে পাচারকারীদের বাড়বাড়ন্ত। অপরদিকে কিছু দালালের হাত ধরে সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ। তাছাড়া বাংলাদেশ থেকে সন্ত্রাসবাদীরা অস্ত্র সহ বিভিন্ন মারণাস্ত্র ভারতে অনুপ্রবেশ করে। তাই সীমান্তে আরো জোয়ান নিয়োগ করে কঠোর ব্যবস্থা করা দরকার।এখন দেখার বিষয় তা কতটুকু কার্যকর হয়।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu