সবুজ ত্রিপুরা
৩ জানুয়ারি
তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ ছোট ত্রিপুরা রাজ্যে ভিন্ন ভিন্ন ভাষাভাষী লোকজনের বসবাস থাকলেও নেই কোন হিংসা বিবাদ সর্বত্রই শান্তি সম্প্রীতি বিরাজমান। রাজ্যে মুন্ডানামক
জাতি-গোষ্ঠীর লোকেরও বসবাস আছে। তারা রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাগুলি পেয়ে বেশ আপ্লুত। আঠারো মুড়া পাহাড়ের কোলে মুন্ডা জাতির লোকজন বসবাস করতে শুরু করেছিল ১৯৯১ ইং সাল থেকে। ওইসব লোকজনরা কাজের সন্ধানে কমলপুর থেকে এসে আঠারোমুড়া পাহাড়ের কোলে বসবাস করতে শুরু
করেছিল। ওই সময় কালে মনটা জাতির লোকজনরা মোট ২৫ টি পরিবার থাকতে শুরু করে আঠারোমুড়া পাহাড়ের কোলে। কিন্তু তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার ওইসব পরিবারগুলোর আর্থসামাজিক মান উন্নয়নের জন্য তেমন কোনো কাজ করিনি বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল। পরে ২৫ পরিবারের মধ্যে ১৮ পরিবারের মুন্ডা জাতি লোকজনরা তৎকালীন বাম সরকার এর উপর বিরক্ত হয়ে ফের কমলপুরে চলে যায়। কিন্তু এই মুন্ডা বস্তি এলাকায় থেকে যায় ৭ পরিবারের লোকজনরা। কালের বিবর্তনে বর্তমানে তাদের কচিকাঁচা সন্তান-সন্তীদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার জন্য একটি অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার দেওয়া হয়। তাদের
যাতায়াতের জন্য সি.সি রাস্তা করে দেওয়া হয়। এই মুন্ডা বস্তির বাসিন্দা অভিনাশ জানালেন, ৪০/৪২ বছর ধরে এই মুন্ডা বস্তিতে বসবাস করছেন। বর্তমানে ওনার পারিবারিক রেশন কার্ডটি অন্তদয় ভুক্ত। তারা সর্বদা রেশন সামগ্রী, এম জি এন রেগা কাজকর্ম পাচ্ছেন নিয়মিত। অবিনাশ মুন্ডা জানান এবার তিনি একটি সরকারি ঘর ও পেয়েছেন। তবে উনার পরিবারের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৭ জন। সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেয়ে বেশ ভাল ভাবেই দিন কাটাচ্ছেন বলে জানান মুন্ডা বস্তির অভিনাশ মুন্ডা।
0 মন্তব্যসমূহ