স্কুল পড়ুয়া নাবালিকা ছাএির আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে গোটা মহকুমা জোরে শোকের ছায়া নেমে আসে-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা 
৭ জানুয়ারি

শুক্রবার

পানিসাগর  প্রতিনিধিঃ রাজ্যে ক্রমবর্ধমান হারে বেরেই চলেছে নারী ঘটিত অপরাধ।কখনোবা নারী হত্যা, আবার কখনোবা নারী আত্মহত্যা, এমনকি নারীদের উপর খুন সন্ত্রাস অহরহ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে গোটা রাজ্য জোরে।

তবে আজকাল নাবালিকা হত্যা, আবার কখনোবা নাবালিকা আত্মহত্যা ক্রমাতগই পাল্লাদিয়ে আধুনিক সভ্যতাকে গ্রাসকরে নিচ্ছে।এমনই একটি স্কুল পড়ুয়া নাবালিকা ছাএির আত্মহত্যার প্রতিচ্ছবি পরিলক্ষিত হয় বৃহস্পতিবার সাত সকাল উওর জেলার পানিসাগর মহকুমার নগর পঞ্চায়েত এলাকার চার নং ওয়ার্ডে।

ঘটনার বিবরনে যানা যায় যে, বৃহস্পতিবার কাক ভোরে আনুমানিক চারটা এিশ মিনিট নাগাদ পানিসাগর নগর পঞ্চায়েত এলাকার চার নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত সজল দাসের স্কুল পড়ুয়া ষোল বর্ষিয়া নাবালিকা কন্যা রুপালি দাস নিজ ঘড়েই বমি করতে করতে মাটিতে লুঠিয়ে পরে।বিষয়টি আচ করতে পেরে ওর মা তড়িঘড়ি পাশের ঘড়ে থাকা ভাশুরকে বিষয়টি জানালে সকলেই ছুটে আসে এবং ওর মুখে একটা ব্যাতিক্রমি গন্ধ পেয়ে তড়িঘড়ি পানিসাগর হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডঃ রাহুল পুরকায়স্থ মহাশয় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওর শারিরীক অবস্থার অবনতি দেখে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে রেফার করে।রুপালির পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথে মৃত্যুর কোলে ডলে পড়ে।

তাই মৃত্যু নিশ্চিত হওয়াতে পুনরায় মৃত দেহ নিয়ে পানিসাগর হাসপাতালে  ছুটে আসে।তাই অস্বাভাবিক মৃত্যু জনিত কারনে আইনি প্রক্রিয়া মোতাবেক ময়না তদন্ত সেরে মৃত দেহ পরিবারের হাতে তোলে দেওয়া হয়।পানিসাগর থানার পুলিশ এই নিয়ে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা নিয়ে তদন্ত কার্য জারি রেখে চলেছেন।তবে পরিবার সুএে জানা গেছে মৃত্যুর আসল রহস্য তারা নিজেরাই জানতে পারছেন না।পরিবার সুএে আরো জানানো হয় যে,বিগত প্রায় বছর আটেক পুর্বে রুপালির বাবা রেল লাইনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়। এর পর থেকে নানা প্রতিকুল পরিস্হিতিকে হার মানিয়ে ওর মা পানিসাগর স্হিত একটি বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের রান্না করে সংসারের দায় দায়িত্ব একাই সমলাচ্ছেন।এমতাবস্থায় এক ছেলে এবং এক মেয়েকে নিয়ে দুঃখ ভরা জীবন সংগ্রাম করে এক প্রকারে ভালোই চলছিল। এমন অবস্হায় এক মাএ মেয়ের এই আকস্মিক মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেন মন থেকে।মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে সজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন।স্কুল পড়ুয়া নাবালিকা ছাএির আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে গোটা মহকুমা জোরে শোকের ছায়া নেমে আসে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu