মুঙ্গিয়াকামী দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের সরকারি ছাত্রাবাসে রকমারি ফুল এবং রকমারি সব্জি ফলনে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সকলকে-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা 
১৮ জানুয়ারি
মঙ্গলবার
তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ প্রকৃতির কোলে অধম যখন উত্তম হয় তখন প্রকৃতির সৌন্দর্য্যতা আরও সুন্দর থেকে সুন্দরতম হয়ে উঠে। তবে থাকতে হবে অদম্য ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা এবং কিছু করার মানসিকতা। 

প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসকারী গিরি বাসীদের সন্তান-সন্তিরাও চায় বিপথগামীতা ভুলে  বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষা গ্রহণ করতে। আর সেটা শিক্ষক শিক্ষিকার প্রচেষ্টাতেই হয়ে উঠা সম্ভব। সমস্ত রকম বাধা-বিপত্তি প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে সফলতা লাভ করা যায় তারই এক প্রকৃত উদাহরণ আঠারোমুড়া পাহাড়ের বুক চিরে গড়ে উঠা ৩৭ মাইল এলাকায় মুঙ্গিয়াকামী দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়টি। 


গুরু-শিষ্যের যুগল মিলনে বিদ্যালয়টি শহর এলাকার সব রকম সুযোগ সুবিধা যুক্ত আর পাঁচটা সাধারণ বনেদি বিদ্যালয় কে ছাপিয়ে মাথা উঁচু করে চলছে দূর্বার গতিতে। খোয়াই জেলার প্রত্যন্ত এলাকা বলা চলে  মুঙ্গিয়াকামী আর.ডি ব্লক। আর এই ব্লকের থেকে অনতিদূরেই অবস্থিত মুঙ্গিয়াকামী দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়টি সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। বর্তমানে প্রায় ৬৮০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে চলছে বিদ্যালয় টি। 
একটা সময় এই বিদ্যালয়টি বোর্ড পরীক্ষার ফলাফলে ১০০শতাংশ অকৃতকার্য থাকলেও বর্তমানে সেই সব রেকর্ডকে পেছনে ফেলে বিগত কয়েক বৎসর যাবত ১০০শতাংশ ভালো ফলাফল করে সগৌরবে এগিয়ে চলছে এই বিদ্যালয়টি।বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং ছাত্র-ছাত্রীদের একাগ্রতার কারণে বিদ্যালয় এবং বিদ্যালয়ের সরকারি ছাত্রাবাসে রকমারি ফুল এবং রকমারি সব্জি  ফলনে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সকলকে। এবছর রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ থেকে যে পাঁচটি বিদ্যালয়'কে সেরা ইকো ক্লাব হিসেবে নির্বাচিত করেছে এর মধ্যে সারা ত্রিপুরার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এই বিদ্যালয়টি অর্থাৎ মুঙ্গিয়াকামী দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়। বলাবাহুল্য, অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও নানা রকম বাহারি ফুলের সঙ্গে সঙ্গে বাহারি  সব্জি ফুলকফি, বাধাকফি, লাউ, লতছিম, বেগুন ইত্যাদি সব্জি করে তাক লাগিয়ে দেয় সকলকে। মূলত নানা প্রতিকূলতা কে সঙ্গে নিয়েও কিছু করার মানসিকতা নিয়ে পঠন-পাঠনের পাশাপাশি সহপাঠ্যক্রমিক কার্যপ্রণালীতে অন্যতম এই বিদ্যালয়টি। 
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ কর্তৃক  সেরা ইকো ক্লাবের তালিকায় নিজেদের নাম দ্বিতীয় স্থানে তুলে ধরেছে। এই খবরে খুশি বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক অভিভাবিকা, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য সদস্যা সহ আপামর গোটা এলাকাবাসি এবং শিক্ষানুরাগী মহল। আশা করা যায় শহরের আর পাঁচটা সর্ব-সুবিধা যুক্ত বিদ্যালয় গুলোকে ছাপিয়ে এই বিদ্যালয়ের সফলতা আগামী দিনের আরও উন্নতির শিখরে পৌঁছবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu