থানার দ্বারস্থ হয়েও মিললোনা সুবিচার অসহায় নির্যাতিত ফরিদা বেগমের-Sabuj Tripura

 

 সবুজ ত্রিপুরা 

১০ জানুয়ারি

সোমবার

কদমতলা  প্রতিনিধিঃ বিচারের বাণী নীরবে কাঁদে থানার দ্বারস্থ হয়েও মিললোনা সুবিচার অসহায় নির্যাতিত ফরিদা বেগমের

ছোটবেলায় মা বাবাকে হারিয়ে ছোট ভাইকে নিয়ে ইট পাথর ভেঙ্গে কোনভাবে সংসার প্রতিপালন করে যাচ্ছে ফরিদা |মামা আরমান আলী দিদা হোলি কা বিবি এবং মাসি রাহেনা বেগম এর লাগাতার নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিল ফরিদা । ঘটনা উত্তর জেলার কদমতলা থানাধীন দক্ষিণ  কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ নং ওয়ার্ডের । 

উল্লেখ্য পিতৃহারা ফরিদা বেগম বয়স ১৯ পিতা মৃত আবদুল করিম, ছোটবেলায় মা বাবাকে হারিয়ে দিদা এবং মামার নিজেদের ভূমির উপর কুঁড়েঘরে কোনরকম দিন গুজরান করত, অভিযোগ কিছুদিন পরপরই ফরিদাকে বিনা কারণে মারপিট করত তারিক মামা এবং দিদা মাসি মিলে ।  অসহায় যুবতী মেয়ে টি পর পর তিন শয়তানের শিকার হয় গ্রামের মুরুব্বিদের কাছে বিচারের জন্য আকুল আবেদন জানালেও তাদের চোখ রাঙানিতে কোনো সমাধান করে দিতে পারেনি পরে কদমতলা থানায় নাম দাম দিয়ে লিখিত অভিযোগ জানালেও কদমতলা থানার পুলিশ কোনো এক অজ্ঞাত কারণে বিষয়টি তদন্ত করার প্রয়োজন মনে করেনি বলে অভিযোগ ফরিদা বেগমের ।

অন্যান্য দিনের মতো গত বুধবারও ফরিদাকে প্রচন্ডভাবে মারধোর করে অভিযুক্তকারীরা,কিল ঘুষি লাথি সহ বাস দিয়ে প্রচন্ডভাবে মারপিট করা হয় ফরিদাকে,এতে ফরিদার একটি হাত কেটে যায়, তখন অসহায় হয়ে পুনরায় কদমতলা থানার দ্বারস্থ হয় ফরিদা কিন্তু এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত কারীদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ । পরে সংবাদমাধ্যমের দ্বারস্থ হয়ে কাঁদতে কাঁদতে পুরো ঘটনা জানায় ফরিদা । মূলত যে বসত করে ফরিদা বর্তমানে রয়েছে সেটা তাদের নিজের ভূমি ছিলো বলে জানায় ফরিদা, আর এই ভূমি থেকে তাদের উচ্ছেদ করে দেওয়ার জন্যই নাকি তাকে মারপিট সহ বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করা হতো, এ বিষয়গুলো সংবাদমাধ্যমকে নিজের মুখেই জানায় ফরিদা বেগম । এখন দেখার বিষয় কদমতলা থানার পুলিশ এ বিষয়ে কী ভূমিকা গ্রহণ করে ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu