একাধিক সমস্যায় জর্জরিত চুরাইবাড়ি চেকপোস্টের করোনা টেস্টিং সেন্টার ভোগান্তির শিকার অস্থায়ী স্বাস্থ্য কর্মী সহ চালক ও যাত্রীর-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা 

১১ জানুয়ারি

মঙ্গলবার

কদমতলা প্রতিনিধিঃএকাধিক সমস্যায় জর্জরিত রাজ্যের প্রবেশদ্বার চুরাইবাড়ি চেকপোস্টের করোনা টেস্টিং সেন্টারটি।

আর তাতে করে ভোগান্তির শিকার অস্থায়ী স্বাস্থ্য কর্মী সহ রাজ্যের ও বহিঃ রাজ্যের চালক,সহ-চালক ও যাত্রীরা।দাবি উঠছে দ্রুত হস্তক্ষেপ গ্রহনের। মূলত ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে রাজ্যে করোনা ভাইরাসের প্রকোপের হাত থেকে বাঁচাতে বিভিন্ন বিধি নিষেধ জারি করে রাজ্য সরকার।আর‌ তাতে করে বহিঃ রাজ্য থেকে সড়ক পথে রাজ্যে প্রবেশের ক্ষেত্রে চুরাইবাড়ি চেকপোস্টে করোনা টেস্টিং সেন্টার বসানো হয়।

অর্থাৎ বহিঃ রাজ্য থেকে চালক, সহ-চালক অথবা যাত্রীরা রাজ্যে প্রবেশ করতে হলে করোনা পরিক্ষার মাধ্যমে রাজ্যে প্রবেশের নির্দেশ জারি করে রাজ্য সরকার।যদি কোন ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মিলে তাহলে সরকারি কোয়ারেইন্টাইন অথবা হোম কোয়ারেইন্টানের নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার।আর তাতে চুরাইবাড়ি করোনা টেস্টিং সেন্টারে ষোলো জন অস্থায়ী স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগ করা হয়। তারমধ্যে আট জন ল্যাব টেকনিশিয়ান ও আটজন ডাটা অপারেটর।সাথে নিয়োগ করা হয় সাফাই কর্মীও।প্রথমে ঠিক ঠাক চললেও চলতি বছরের শুরুতে করোনার থার্ড ওয়েব ওমিক্রন গোটা বিশ্বের সাথে দেশে আঁচরে পড়াতে তা শক্ত হাতে মোকাবিলায় নামে রাজ্য সরকার। কিন্তু চুরাইবাড়ি অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিযোগ, উক্ত করোনা টেস্টিং সেন্টারে একাধিক সমস্যা রয়েছে। তাদের অভিযোগ, স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিত মাসিক বেতন পান না।সাফাই কর্মীও পারিশ্রমিক না পেয়ে কাজ ছেড়ে চলে গেছেন।তাতে করে টেস্টিং সেন্টারটি করোনা পরিক্ষার কিট সহ নোংরা আবর্জনায় ভরপুর।করোনা পজিটিভ রোগীদের আলাদা বসিয়ে রাখার সুব্যবস্থা টুকুও নেই।পানীয় জলের অভাবে স্বাস্থ্যকর্মীরা ভালোভাবে হাত পা ধুতে পারছেন না।জীবনের ঝুকি নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন অস্বায়ী স্বাস্থ্যকর্মীরা।এর ফল ভোগ করতে হচ্ছে রাজ্যের ও বহিঃ রাজ্যের চালক, সহ-চালক ও যাত্রীদের। 

স্বাস্থ্যকর্মীরা আরো জানান, স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে রাজ্যে প্রবেশের ক্ষেত্রে করোনা টিকা কিংবা আর্টিফিশিয়াল টেস্ট কোনটাই গ্রহনযোগ্য নয়। প্রত্যেককে রাজ্যে প্রবেশের ক্ষেত্রে করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক।পাশাপাশি চুরাইবাড়ি করোনা টেস্টিং সেন্টারে অস্থায়ী স্বাস্থ্য কর্মীরা স্বাস্হ্য দপ্তরে দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাদের প্রতি একটু সহনশীল হবার আহ্বান জানান। পাশাপাশি দাবি উঠছে উক্ত করোনা টেস্টিং সেন্টারে স্বাস্থ্য দপ্তরের হস্তক্ষেপ গ্রহনের।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu