ধর্মনগর পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্বে চরম গাফিলতি-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা 

১০ জানুয়ারি

সোমবার

ধর্মনগর প্রতিনিধিঃ পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে  এক কুখ্যাত আসামির একই দিনে পরপর দুবার লকআপ থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় চাঞ্চল্য ধর্মনগর শহরে। 

প্রসঙ্গত ইতিমধ্যে ধর্মনগরের বেশকিছু মোবাইল টাওয়ারে ব্যবহৃত ক্যাবল ওয়্যার চুরি করে চলছিল একটি চোর চক্র। সে মোতাবেক শনিবার বিকেলে ধর্মনগর আলগাপুরের বাসিন্দা সুজিত শর্মা নামে এক চোর কে ধর্মনগর পদ্মপুর এলাকার একটি মোবাইল টাওয়ার থেকে ক্যাবল ওয়্যার চুরী করে নিয়ে যাওয়ার  সময় স্থানীয়রা তাকে পাকড়াও করে ।

উত্তম-মধ্যম দিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় তাকে তুলে দেওয়া হয় ধর্মনগর আরক্ষা বাহিনীর হাতে। শনিবার রাতে ধর্মনগর থানায় কারাবন্দী থাকার পর রবিবার সকালে থানার কর্তব্যরত  পুলিশের  অসাবধানতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সকলের চোখে ফাঁকি দিয়ে থানা থেকে পালিয়ে যায় ঐ চোর । সঙ্গে সঙ্গে কোন এক পুলিশ কর্মী তাকে পালিয়ে যেতে দেখে চিৎকার করলে। থানার কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে টিএসআর  বাহিনী তার পিছু ধাওয়া করে।  এদিকে ওই চোর খানিক সময়ের জন্য থানা থেকে বেরিয়ে গা-ঢাকা দেয়। পুলিশের তৎপরতা দেখে আশেপাশের স্থানীয়রা এগিয়ে আসে। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। হঠাৎ স্থানীয় এক জনতা চোরটিকে থানার বিপরীতে থাকা একটি শনি মন্দিরের আড়ালে লুকিয়ে থাকতে দেখে  পুলিশকে জানাতেই পুলিশ ও স্থানীয় জনগণের যৌথ প্রচেষ্টায় তাকে উদ্ধার করে আবার লকআপে বন্দি করা হয়। এই ঘটনায় ধর্মনগর থানার খামখেয়ালী নিয়ে গোটা ধর্মনগরের  বিভিন্ন মহলে জোর চর্চা চলছে । প্রকাশ্যে দিনের আলোতে আশ্চর্যজনক ভাবে থানার লকআপ  থেকে পুলিশ ইনচার্জকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে  পালিয়ে যায় চোর।

ধর্মনগর থানার লকআপের সাথেই রয়েছে কর্তব্যরত ইন্সপেক্টরদের রুম। অধিকাংশ সময়ই একাধিক  ইন্সপেক্টররা সেখানে বসেন । আসামি লকআপ খুলে পালিয়ে গেল কেউ কিছুই  করতে পারলেন না যা অসাবধানতা ও খামখেয়ালীর চরম নিদর্শন। পরবর্তী সময়ে স্থানীয় জনগণ ও পুলিশের যৌথ উদ্যোগে কুখ্যাত চোর সুজিত শর্মাকে ধরে এনে পুনরায় লকআপ বন্দি করার পরে রবিবার  দুপুর নাগাদ তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। আদালতে নিয়ে তাকে আদালতের নির্দিষ্ট  কারাগারে  বন্দী অবস্থায় রাখা হয়। কিন্তু সেখানেও সে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কারাগারের ভেতরে একটি ভেন্টিলেটর ভেঙে বেরিয়ে পরে।কিন্তু  ভেন্টিলেটর দিয়ে বেরোনোর সময় কারাগারের সামনে পাহারারত আরেক পুলিসকর্মীর নজরে এলে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী হুইসেল বাজায়। তা শুনে আদালতের কারাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্য পুলিশকর্মীদের সহযোগে কারাগারের পেছন থেকে তাকে পুনরায় ধরে আনা হয় । জানা গেছে সুজিত শর্মা নামের এই কুখ্যাত চোরের বিরুদ্ধে  একাধিক মামলা রয়েছে।  এমনকি সে ডাকাতি সংক্রান্ত কোন একটি মামলাতেও জড়িত আছে বলে জানা গেছে। রবিবার একি দিনে প্রথমে থানার লক-আপ থেকে আবার পরবর্তীতে কোর্টের লকআপ থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার ঘটনায় ধর্মনগর জুড়ে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি ধর্মনগরের পুলিশকর্মীদের দায়িত্বে চরম গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। কোর্ট লকআপে দীর্ঘ সময় ধরে বন্দি থাকা আসামি কি করে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে ভেন্টিলেটর ভাঙ্গার সুযোগ পায় তানিয়ে  চলছে চরম চর্চা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu