সবুজ ত্রিপুরা
১০ জানুয়ারি
ধর্মনগর প্রতিনিধিঃ আজদিকা অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসেবে বনজ সম্পদ ও বন্যপ্রাণী রক্ষার্থে রবিবার উত্তর জেলার পানিসাগর মহকুমার অন্তর্গত রৌয়া অভয়ারণ্যে শুরু হলো দুদিনের রৌয়া প্রাইমেট ফেস্টিভ্যাল ২০২২।
ফেস্টিভ্যালের শুভ উদ্বোধন করেন রাজ্যের রাজস্ব ও বন দপ্তরের মন্ত্রী এনসি দেববর্মা। এছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পানিসাগরের বিধায়ক বিনয় ভূষণ দাস ছিলেন রাজ্যের মুখ্য বণ সংরক্ষক ডঃ ডি.কে শর্মাসহ অনান্য বন আধিকারিকরা। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উত্তর ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস। অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে বক্তারা বলেন রৌয়া প্রাইমেট ফেস্টিভ্যাল ২০২২ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বনজ সম্পদ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ সে বিষয় সকলকে সচেতন করে তুলা।
একটা সময় আমাদের পূর্ব পুরুষেরাও বনজঙ্গলেই জীবনযাপন করতো কালের পরিবর্তনে মানুষ আজ বন ত্যাগ করলেও বানর থেকে শুরু করলে বহু পশু যাদের বাস এখন জঙ্গলে। তাদের সম্বন্ধে বিস্তারিত জানান দেওয়াই এই ফেস্টিভালের মুখ্য উদ্দেশ্য।বিভিন্ন পশুপাখি আমাদের মনোরঞ্জনের সাথে সাথে আমাদের বিভিন্ন উপকারিতায় আসতে পারে। ফলে আমরা এখন থেকেই পশুপাখি সংরক্ষণের প্রতি গুরুত্বারোপ করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনেকটা লাভবান হবে। ইতিমধ্যে সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে বনজ সম্পদ ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় উদ্যোগ থাকলেও বর্তমানে মানুষ অবিচারে বন ধ্বংস করার ফলে বন্যপ্রাণীরা বন থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে চলে আসছে। যার ফলে কখনো কখনো বন্যপ্রাণীদের দাঁড়া আক্রান্ত হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। তাই বন ধংস না করে পশুপাখিদের বসবাসের যোগ্য করে তুলার আহ্বান করেন সকলে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক তথা বনমন্ত্রী এনসি দেববর্মা বলেন ত্রিপুরা বনজ সম্পদ ও বন্যপ্রাণী রক্ষার্থে ইতিমধ্যে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তারই একটি আয়োজন এই ফেস্টিভ্যাল। রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই এমন সচেতনতামূলক ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হবে । প্রথম ফেস্টিভ্যালটি উত্তর জেলায় হচ্ছে। রাজ্যে বনজ সম্পদ ও বন্য প্রাণীর সাথে মানুষের পারস্পরিক সৌহার্দ বাড়িয়ে তুলতেই এই আয়োজন। বনরক্ষার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কারনে এমন অনুষ্ঠানের গুরুত্ব অপরিসীম।
বন্য প্রাণী ও বনসম্পদ বাচিয়ে রাখলেই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব।বন্যপ্রাণীর রক্ষার্থে ইতিমধ্যে সরকার রাজ্যের তিনটি জায়গায়, অর্থাৎ কুমারঘাট ,সিপাহীজলা, এবং বগাফায় উদ্ধারকৃত বন্যপ্রাণীদের সংরক্ষণের জন্য ব্যাবস্থা করেছে। তিনি আরো বলেন রাজ্যের বহু বন্যপ্রাণী আজ বিলুপ্তের পথে তাই কোথাও কোন বন্যপ্রাণী দেখলে তার প্রাণনাশের পরিবর্তে বনদপ্তর সাথে যোগাযোগ করে প্রতিটি বন্যপ্রাণীর প্রাণীর প্রাণ রক্ষা করার আহ্বান জানান তিনি। দু'দিনব্যাপী এই ফেস্টিভ্যালে প্রকৃতির পদচারণা, সাইকেল রেলি, প্রাইমেট কর্নার, সেলফি পয়েন্ট, পাখি দর্শন, বন্যপ্রাণী চলচ্চিত্র, অঙ্কন প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা ,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, জনজাতি খাবার, কারু ও হস্তশিল্পের স্টল ছিল। রবিবার রাতে রাজ্য সরকার কর্তৃক কোভিড বিধি চালু হওয়ায় সাথে সাথে ফেস্টিভ্যাল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
0 মন্তব্যসমূহ