এবং তার গুরুদেব অনিল বর্মন গোস্বামী যতদিন বেঁচেছিলেন এই শৈল বালা দাস তার সেবা করে গিয়েছেন।গুরুদেব অনিল বর্মন গোস্বামী জীবিত থাকাকালীন অবস্থায় তার আশ্রম পুকুর বাড়িঘর জায়গা দেখা বাল করার জন্য এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মেলাঘর কয়েকজন বিশিষ্ট লোক নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে এবং গুরুদেব অনিল বর্মন গোস্বামী বলে যান উনার মৃত্যুর পর তার শিষ্য কে দেখার জন্য। অর্থাৎ শিষ্য শৈল বালা দাস কে আর্থিক দিক থেকে প্রতিমাসে কিছু টাকা পয়সা দেওয়ার কথাও বলে যান,এমনটাই অভিযোগ করেন শিষ্য শৈল বালা দাস। কিন্তু কমিটি প্রথম দু'বছর পর্যন্ত শৈলবালা দাস কে দেখভাল করলেও দুই বছর পরে কমিটি আর দেখভাল করছে না বলে অভিযোগ আনেন বৃদ্ধা। এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল গুরুদেব অনিল বর্মন গোস্বামী তার শিষ্য শৈলবালা দাস কে তের গন্ডা জায়গার মধ্যে ৫ গন্ডা ক্ষেতের জমি লিখিতভাবে তার গুরুদেব নাকি দান করে গেছেন উনাকে। এখন সবচেয়ে বড় বিপত্তি হচ্ছে এই ৫ ঘন্টা জায়গায় নিয়ে। সূত্রের খবর কমিটির লোক গুরুদেব অনিল গোস্বামী জীবিত থাকাকালীন অবস্থা কখনো কমিটিকে বলে যাননি তার শিষ্য শৈল বালা দাস কে ৫ গন্টা ক্ষেতের জমি দিয়েছেন।
শেষ পর্যন্ত এই ৫ গন্ডা জমি নিয়ে কমিটির লোক কোর্টে একটি মামলা করেন। এবং এ মামলা-মোকদ্দমার পর গুরুদেবের ৫ গন্ডা ক্ষেতের জমি দান করা শিষ্য শৈলবালা দাস পান। কিন্তু এ মামলায় অসন্তুষ্ট হয়ে কমিটির লোক কোর্টে আপিল করেন। এই আপিল করার পর ৫ গন্ডা ক্ষেতের জমি কোনো সুরাহা হয় নি। শিষ্য শৈলবালা দাস আরো অভিযোগ করেন কমিটির লোক না কি উনাকে বলেছে ৫ গন্ডা ক্ষেতের জমির মধ্যে ২ গন্ডা জমি যদি কমিটিকে দিয়ে দেয় তাহলে তারা মামলা প্রত্যাহার করবে।
0 মন্তব্যসমূহ