উচ্চ আদালতের আদেশ কে অমান্য করেন,বৈধ বিবাহিত কন্যার পরিবার-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা 
৩ জানুয়ারি

সোমবার

বক্সনগর প্রতিনিধিঃ সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়া থানাধীন , কাঠালিয়া আর ডি  ব্লকের অন্তর্গত রবীন্দ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এর শোভাপুর এলাকার বসবাসকারী রূপক 

বণিক এবং তার পাশের বাড়ির কলেজ পড়ুয়া সুপর্ণা পাল এর সাথে দীর্ঘ পাঁচ বছর প্রেম করার পর ,১৯ আগস্ট ২০১৯ বিশালগড   এস ডি এম অফিসে কোর্ট মেরেজ এর মাধ্যমেই তাদের বিবাহ সম্পন্ন করা হয়। এবং তাদের মেরেজ সার্টিফিকেট এভিডেভিট করা হয় এই এভিডেভিট মূলে 

অর্থাৎ ১৩/ ০৯/ ২০১৯ বিশালগড় কোট থেকে প্রেমিক প্রেমিকাকে ম্যারেজ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর অর্থাৎ বিশ দিন পরে সুপর্ণা রুদ্র পালের পরিবার তাদের বৈধ বিবাহ কে অস্বীকার করেন এবং প্রেমিক  রপক 


বনিকের উপর আক্রমণ করেন এবং  তার পাশাপাশি সোনামুড়া থানায় রূপক বণিকের বিরুদ্ধে এজহার করে। এই দিকে সোনামুড়া থানার পুলিশ ও তদন্তের জন্য বাড়িতে যায় এবং এর ঘটনা তদন্ত করে সামাজিকভাবে প্রেমিক প্রেমিকার বিবাহ করার কথা বলে। কিন্তু উল্টো প্রেমিকা সুপর্ণা রুদ্র পালের পরিবার প্রেমিক রূপক বণিক এর বাড়িতে আক্রমণ করে। তাই নিরুপায় হয়ে প্রেমিক রূপক বণিক ২০১৯ এর ডিসেম্বরে সোনামুড়া ফ্যামিলি কোটে একটি মামলা করেন। উক্ত ফ্যামিলি কোর্টের বিচারক ছিলেন শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী। দীর্ঘ শুনানির পর ফ্যামিলি  

কোর্টের বিচারক শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী প্রেমিক প্রেমিকার মেরেজ সার্টিফিকেট এর এভিডেভিট অবৈধ বলে স্বীকৃতি দেন। এবং বিচারক শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী মেরেজ সার্টিফিকেট এর এভিডেভিট করা র সময় প্রেমিক প্রেমিকার স্বাক্ষর করা ভিডিও দেখেননি। তিনি এই ভিডিও ফুটেজ দেখতে অস্বীকার করেন এবং একতরফা ভাবে প্রেমিকার পক্ষে রায় দেন বলে অভিযোগ এবং এই বিবাহকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন।তার পর এই রায়ের উপর অসন্তুষ্ট হয়ে এবং চ্যালেঞ্জ করে প্রেমিক রুপক বণিক ০৫/০৫/২০২১ ইং তারিখে মাননীয় উচ্চ আদালতে মামলা করেন।এই নিম্ন আদালতের রায় কে পর্যবেক্ষণ করে শুভাশিস তলাপাত্র গত ৩০/০৯/২০২১ ইং তারিখে প্রেমিকার পক্ষকে অর্থাৎ সুপর্ণা পালের পরিবারকে একটি নোটিশ প্রদান করেন। উক্ত নোটিশকে প্রেমিকার পক্ষ অর্থাৎ সুপর্ণা পালের পরিবার অবমাননা করেন। তাই মাননীয় বিচারপতি গত ০২/১২/২০২১ ইং তারিখে নিম্ন আদালতের রায়ের উপর স্থগিত করেন । এবং এই  রায়ে আরও উল্লেখ করেন উচ্চ আদালতের পরবর্তী রায়ের এর পূর্ব পর্যন্ত প্রেমিকা সুপর্ণা পালকে অন্যত্র কোথায় বিবাহ দেওয়া যাবে না।উক্ত রায়ের দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রেমিক-প্রেমিকার মেরেজ সার্টিফিকেট বৈধ বলে ঘোষণা করেন এবং নিম্ন আদালতের রায়কে অর্থাৎ ফ্যামিলি কোড কে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন। এই দিকে প্রেমিকার পরিবারের মামলা অবৈধ ঘোষণা করার পর এবং উচ্চ আদালতে প্রেমিকার পরিবার না যাওয়ার ফলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে। এই দিকে প্রেমিক-প্রেমিকার কোর্ট মেরেজ এর বিবাহ যে সম্পূর্ণভাবে বৈধ ছিল তা কিন্তু বলার অপেক্ষা রাখে না। এ নিয়ে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu