১০ জানুয়ারি
বিশালগড় প্রতিনিধিঃ রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা দিনের পর দিন বেশ কিছু হাসপাতালে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। একাংশ চিকিৎসকের গাফিলতিতে রোগী এবং রোগীর আত্মীয় পরিজনদের দিনের পর দিন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব স্বাস্থ্য ব্যাবস্থার উন্নতিতে যথাযোগ্য চেষ্টা করলেও, এখনো বেশ কিছু হাসপাতালে চিকিৎসকের গাফিলতি রয়েছে। উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় হচ্ছে বহুবার সংবাদের শিরোনামে উঠছে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের একাংশ চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের গাফিলতির কথা।
বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে একাংশ চিকিৎসকের গাফিলতি দিন দিন প্রকাশ পাচ্ছে। রবিবার আবারো সংবাদের শিরোনামে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতাল। অভিযোগ ইমার্জেন্সী রোগী নিয়ে আসলে উক্ত হাসপাতালে ডাক্তারের দেখা নেই, বরং ডাক্তার ব্যাস্ত ফোন নিয়ে। জানা যায় রবিবার বিকালে চড়িলামের বাসিন্দা মিঠুন মিয়া তার স্ত্রী কুলসুম বেগমকে নিয়ে বাইকে করে আগরতলার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল, ঠিক সেই সময় অফিসটীলা এলাকায় আসতেই দুর্ঘটনার শিকার হয়। এই দুর্ঘটনায় বেশি আহত হয় মিঠুন মিয়ার স্ত্রী কুলসুম বেগম। এদিকে পরবর্তী সময় স্থানীয়দের চেষ্টায় মিঠুন মিয়া তার আহত স্ত্রীকে নিয়ে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর জন্য আসলে, দেখা নেই ডাক্তারের। মিঠুন মিয়ার অভিযোগ দীর্ঘ ৪৫ মিনিট যাবৎ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নেই দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার। মিঠুন মিয়ার আরো অভিযোগ যে হসপিটালের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্য নার্সদের ডাক্তারের কথা জিজ্ঞেস করলে , দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্সের বক্তব্য ডাক্তার পরে আসবে। যার ফলে মিঠুন মিয়া তার গুরুতর আহত স্ত্রী কুলসুম বেগমকে নিয়ে প্রায় ৪৫ মিনিট বসে থাকতে হয়েছে, এদিকে দীর্ঘ ৪৫ মিনিট পর হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার ফোনে কথা বলতে বলতে জরুরী বিভাগে প্রবেশ করে, যার ফলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে হাসপাতালের আসা অন্যান্য রোগী এবং রোগীর আত্মীয় পরিজনরা।
তবে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের কর্তব্যরত একাংশ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন নয়, বহুবার উক্ত হাসপাতালের একাংশ কর্তব্যরত চিকিৎসকএর বিরুদ্ধে কর্ত্তব্যে গাফিলতির নানান অভিযোগ উঠেছে। এদিকে স্থানীয় সাংবাদিকরা উক্ত হাসপাতালের গাফিলতির নিউজ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করলে, হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত বহু ডাক্তার , এমনকি একাংশ স্বাস্থ্য কর্মীরা স্থানীয় সাংবাদিকদের বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা করে থাকে, সাংবাদিকরা হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের সাথে দুর্ব্যবহার এবং হাসপাতালের স্বনামধন্য একজন ডাক্তার সাংবাদিককে ডেকে নিয়ে উনি ডাইরেক্ট বলে দেন সাংবাদিক যেন হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ না করে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের একাংশ স্বাস্থ্য কর্মীরা। এদিকে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত একাংশ স্বাস্থ্য কর্মীর গাফিলতির কারণে সাধারণ মানুষকে দিনের পর দিন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে ।
0 মন্তব্যসমূহ