কাঠ বিরোধী অভিযানে চড়িলাম বনদপ্তররের বিশাল সফলতা-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা 
৪ জানুয়ারি

মঙ্গলবার

বিশালগড় প্রতিনিধিঃ গত কয়েক বছর যাবৎ চরিলাম বিধানসভার অন্তর্গত রাঙ্গাপানিয়া এলাকায় বেআইনিভাবে কাঠের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এলাকার কুখ্যাত বনদস্যু বাবুল মিয়া। তার অবৈধ কার্যকলাপ সম্পর্কে একাধিকবার এলাকাবাসী অভিযোগ তুলে, কিন্তু একজন বনদপ্তরের 

আধিকারিক এর সাথে গভীর সখ্যতা রেখে বাবুল তার অবৈধ কার্যকলাপ জারি রেখেছে। কয়েক বছর যাবৎ বেআইনি কাঠের বাণিজ্য চালিয়ে যাবার বিষয়ে খবর পৌঁছে বিশালগড় মহাকুমা কর্মরত একাধিক সংবাদ কর্মীদের নিকট। খবর পেয়ে রোজ শুক্রবার মহকুমার তিন সাংবাদিক , ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে লাল সিং মুড়া রাঙ্গাপানি এলাকায় বাবুল মিয়ার বাড়িতে উপস্থিত হয়। কথা বলেন কুখ্যাত বনদস্যুর সাথে। কথা বলেন বনদস্যু 

বাবুল মিয়ার সাথে, কিন্তু উনি যেন তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে। তার বাড়িতে প্রবেশ করতে অনুমতি চায়, কর্তব্যরত সাংবাদিকরা। তিনি কিছুতেই তার বাড়িতে যাবার অনুমতি দিচ্ছে না। বরং কর্তব্য রত সাংবাদিক বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করত থাকে। এক সময় উনার ঘর থেকে বেরিয়ে আসে উনার সহধর্মিনী সাংবাদিকদের সাথে বিশ্রী ভাষায় গালাগালিজ করতে দেখা যায়। তৎক্ষণাৎ বাবুনি উচ্চস্বরে চরিলাম বনদপ্তর আধিকারিক ম্যাডামকে ঘটনাস্থলে আসার জন্য আদেশ দেন উপস্থিত সংবাদকর্মীদের। আর সেখানে উঠছে প্রশ্ন , কথা হচ্ছে যেখানে অন্যান্য আধিকারিকরা এতদিন কাঠ বিরোধী অভিযানে উপস্থিত হন, সেখানে কেনইবা বনদপ্তর সাহেবা কে উদ্দেশ্য করে উনার বাড়িতে আগমনের জন্য আগ্রহী। সেই বক্তব্যের সাক্ষী উপস্থিত এলাকাবাসী। পরবর্তীতে সংবাদকর্মী রা চরিলাম বনদপ্তর পেট্রোল স্টাপ ইনচার্জের সাথে যোগাযোগ করেন এবং বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করা হয়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে যান চরিলাম বনদপ্তর পেট্রোল ইনচার্জ সুশান্ত দাস বিরাট কর্মীরা। বনদপ্তর এর কর্মীরা বাবুল মিয়ার 

বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একশ ফুটের অধিক কাঠ উদ্ধার করতে সক্ষম। যার বাজার মূল্য আনুমানিক কয়েক লক্ষাধিক টাকা। এলাকার সূত্রের খবর বাবুল মিয়া গত কয়েক বছর যাবৎ অবৈধ কাঠ বাণিজ্যের সাথে জড়িত, তবে তার টিম্বার লাইসেন্স রয়েছে সেটি তার দোকানের নামে।। কিন্তু ট্রেড লাইসেন্স বিহীন লালসিমুড়া বাজারের অবৈধ ভাবে চালাচ্ছে অবৈধ কাঠের বানিজ্য। জানা যায় টিম্বার  লাইসেন্স শো করে, আড়ালে অবৈধ কাঠের ব্যবসা চালাচ্ছে রমরমা। সিপাহী জলা রিজার্ভের জায়গা থেকে রাতের আধারে শাল সেগুন চুরি করে বিভিন্ন অবৈধ কাঠের সমেইল চিরানো হয়, এবং তার নিজ বাড়িতে মজুদ করে তৈরি হচ্ছে কাঠের বিভিন্ন সামগ্রী। এলাকার খবর তার স্ত্রী বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত রয়েছে। অবৈধ কাঠের বাণিজ্যের জড়িয়ে বাবুল মিয়া বর্তমানে কয়েক কোটি টাকার মালিক। এছাড়া বাবুল মিয়া বিরুদ্ধে মাদক বাণিজ্য দেহ ব্যবসার মতো জড়িত থাকার অভিযোগ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu