রাজ্য আরক্ষা দপ্তরে ৫০০ জন মহিলা নিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে রাজ্যের গর্বের পুলিশ বাহিনীর কর্মদক্ষতার ফলেই বর্তমানে উল্লেখযোগ্যভাবে বিভিন অপরাধের সংখ্যা হাস পেয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা 

০৩ ডিসেম্বর

শুক্রবার

নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ রাজ্যের গর্বের পুলিশ বাহিনীর কর্মদক্ষতার ফলেই বর্তমানে উল্লেখযোগ্যভাবে বিভিন্ন অপরাধের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। 

আজ জিরানীয়া পুলিশ স্টেশন কমপ্রেক্সে আয়োজিত শ্যামা মায়ের আরাধনা, মেগা রক্তদান ও সিভিক আ্যাকসন কর্মসূচির সূচনা করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য আরক্ষা দপ্তরে ৫০০ জন মহিলা নিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মহিলা সংক্রান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অনবদ্য অবদান রাখার জন্য নির্ভয়া ফান্ড ফ্রেমওয়ার্কের অধীনে কর্মরত ১১ জন মহিলা পুলিশ ভলেন্টিয়াকে আজকের অনুষ্ঠানে সম্মাননা জ্ঞাপন করেন৷ 

                         হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

এরপর মুখ্যমন্ত্রী রক্তদান কর্মসূচি পরিদর্শন করেন ও দুঃস্থদের মধ্যে শীতবন্ত বিতরণ করেন৷ তার আগে জিরানীয়া পুলিশ স্টেশন প্রাঙ্গণে শ্যামা মায়ের দর্শন ও কৃপা প্রার্থনা করেন মুখ্যমন্ত্রী পাশাপাশি মহিলা সশক্তিকরণ ও সমাজে মহিলাদের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে একাধিক পরিকল্পনা সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে৷ পূর্ব নির্ধারিত ৫০০ জন পুলিশ কর্মী নিয়োগে আনুপাতিক হারে সুযোগ থাকবে মহিলা প্রাথীদেরও। তার পাশাপাশি রাজ্য আরক্ষা দপ্তরে ৫০০ জন মহিলা নিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরার গর্বের পুলিশ বাহিনী রাজ্যের শান্তি সম্প্রীতি এবং ত্রিপুরাকে বদনাম করার প্রয়াসকে প্রতিহত করে শান্তি ও শৃঙ্খলা সুনিশ্চিত করেছে। ইতিবাচকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে সাজা প্রাপ্তির হার৷ এর ফলশ্রুতিতে হ্রাস পেয়েছে বিভিন্ন অপরাধের সংখ্যা। 


একটা অংশ শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীকে খাট করতে পুলিশের সাফল্যের অবমাননা করছেন। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে ২০১৯ এর সাথে ২০২০ সালের তুলনামূলক পরিসংখ্যান তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, সড়ক দুর্ঘটনা হ্থাস পেয়েছে ২৮০৮ শতাংশ, ধর্ষন হ্থাস পেয়েছে ১৫৪ শতাংশ, ডাকাতি কমেছে ৬২.৫ শতাংশ, ছিনতাইয়ের সংখ্যা নেমে এসেছে ৮১৮ শতাংশ, মহিলা সংক্রান্ত অপরাধ কমেছে ১৫৪ শতাংশ, বধু নির্যাতনের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে ২৯.৪ শতাংশ, শ্লীলতাহানি কমেছে ২১৪ শতাংশ, মহিলা অপহরণ কমেছে ২০.৩ শতাংশ, গার্হস্থ্য হিংসা হ্রাস পেয়েছে ২১২ শতাংশ, মোট মহিলা সংক্রান্ত অপরাধ হ্রাস পেয়েছে ১৯৬ শতাংশ। পাশাপাশি বৃদ্ধি পেয়েছে সাজা প্রাপ্তির হার। ২০১৮ তুলনায় ২০২০ সালে আইপিসি মামলার অধীনে সাজা প্রাপ্তির হার বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। বিশেষ ও স্থানীয় আইনে সাজা প্রাপ্তির হার ৩৭ শতাংশ থেকে ৫৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ায় এসেছে উর্ধগতি।অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান প্রজন্মকে এইচআইভি ও ড্রাগের মত অশুভ শক্তি থেকে সুরক্ষিত রাখতে প্রতিটি ঘর থেকে মহিলাদের অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রয়োজন সম্মিলিত প্রয়াস। নারী শক্তিই পারেন ম্নেহের মাতুরূপের পাশাপাশি প্রয়োজনে রুদ্র রূপ ধারণ করতে।আর তাই এই সব অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করতে মহিলাদের অগ্রণী ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন।

এইচআইভি ও ড্রাগ সংক্রমিতদের দুরে সরিয়ে রাখার বদলে ব্ধুতৃপূর্ণ পরিবেশে বুঝিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, বর্তমান প্রজন্মের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার লক্ষ্যে এইচআইভি সংক্রমণ এবং ড্রাগ যুক্ত ত্রিপুরা নির্মাণে প্রতিটি ঘর থেকে মহিলাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে৷ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, রক্তের কোন ধর্ম হয় না। 


রক্তদানের মতো কর্মসূচির দ্বারা মানবসেবার মাধ্যমে ঈশ্বর সেবার ভাবনায় অনেকেই এগিয়ে আসেন। রাজ্যে রক্তের চাহিদা মেটাতে আরও বেশি করে এই ধরণের কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রয়োজন। একটি দৃষ্টান্ত তুলে ধরে মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী বলেন, রাজ্যের এক মুমুর্য রোগীর জন্য দুর্লভ এক রক্তের গ্রুপের প্রয়োজনের কথা সামাজিক মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। মানবতার টানে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এক যুবক অল্প সময়ের জন্য বিশেষ অনুমতি নিয়ে রাজ্যের আইজিএম হাসপাতালে এসে সেই রোগীর জন্য রক্ত দান করেন। এভাবেই রক্তদানের মাধ্যমে মানবতার এক অনন্য নজির স্থাপন করলেন ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ার এ যুবক। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন 
এডিজিপি পুনীত রাস্তোগী  পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধমান পুলিশ সুপার মানিক দাস প্রমূখ ।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu