বন্য দাঁতাল হাতির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের অধীনে বিস্তীর্ণ এলাকার সাধারন জনগন-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা 
২৮ ডিসেম্বর

মঙ্গলবার

তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ  বন্য দাঁতাল হাতির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের অধীনে কৃষ্ণপুর, উত্তর কৃষ্ণপুর, মধ্য কৃষ্ণপুর, অফিস টিলা, ফুলবাসী, ভূমিহীন টিলা, কপালী টিলা, ঠাকুর চান বৈশ্য পাড়া, উৎলাবাড়ি, সহ  বিস্তীর্ণ এলাকার  সাধারন জনগন।

বিগত বাম আমলটা ছিল এক বিভীষিকাময় অন্ধকারের রাজত্ব। বাম আমলে নেতা মন্ত্রীরা তৎকালীন সময়ে জঙ্গল কেটে মঙ্গল করে খাল কেটে কুমির এনেছিন , অর্থাৎ বনভূমির একাংশ জমির পাট্টা বিলির নাম করে নির্বিচারে বন ধ্বংস করা হয়েছিল ওই সময়ে। উদ্দেশ্য, বনভূমির জায়গায় বসতি স্থাপন করে দেওয়া। বর্তমানে বাম আমলে 

পাপের বোঝা বইছে নিরীহ মানুষ জন। জঙ্গলে দিন কে দিন হাতির খাদ্য সঙ্কট থাকায় বন্য দাঁতাল হাতির দল লোকালয়ে প্রবেশ করে হামলা হুজ্জোতি চালাচ্ছে নির্বিচারে ধ্বংস করছে বহু বাড়িঘর সহ কৃষিজ ফসল। দিন আনি দিন খাই মানুষদের প্রশ্ন একটাই আমরা কোথায় যাব। বেহদিশ বন কর্মীরা বন্য দাঁতাল হাতি সন্ত্রাস কোন ভাবেই লাগাম টানতে পারছে না।  অনান্য দিনের মতো সোমবার রাতভর তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের অধীনস্থ উত্তর কৃষ্ণপুর এলাকায় চলে বন্য দাঁতাল হাতি উন্মত্ত তাণ্ডব। এই এলাকার প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবারের বসবাস। এর মধ্যে বেশির ভাগ মানুষ জনই দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী। তারা দিনের বেলায় 
রুজি-রুটির সন্ধানে  সারাদিন কাজ করে সন্ধ্যায় ঘরমুখী হতেই রাতভর চলে বন্য দাঁতালের আক্রমণ। সোমবারও এর ব্যাতিক্রম নয়। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এই এলাকার এক প্রবীণ ব্যাক্তি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান,,, বিগত প্রায় ১০ বছর যাবত বন্য দাঁতাল হাতি তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের অধীনস্থ বিস্তীর্ণ এলাকায়। তিনি আরো বলেন, আমরা দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ। বনদপ্তরের কাছে আমাদের দাবী হাতি গুলিকে এখান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক নতুবা আমাদেরকে এখান থেকে সরিয়ে কোন একটি সুরক্ষিত স্থানে নিয়ে যাওয়া হোক।এখন দেখার বিষয় হাতির সমস্যা নিরসনে কবে নাগাদ লাগাম টানতে সক্ষম হয় তেলিয়ামুড়া বনদপ্তর।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu