আর এই শাপলা ফুলের চাষ করে যেকোনো বেকার যুবক /যুবতীরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে অনায়াসে অল্প শ্রমদানের মাধ্যমে। এই রক্ত শাপলা ফুলের প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হচ্ছিল তেলিয়ামুড়া চাকমা ঘাটের জারুলং বাড়ি এলাকার সুধীর দেবনাথের সাথে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, রক্ত শাপলা ফুলের মূল অর্থাৎ আলুর মতো বীজ কমলপুর থেকে এনে চাষাবাদ শুরু করে ছিলেন ৪/৫ বছর পূর্বে। বিশেষ করে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে বৃষ্টির সময় জলাশয়ে এই ফুলের চাষ করতে হয়। চাষ শুরু করার প্রায় ৬ মাস পর থেকে ফুল ফুটতে থাকে। জলাশয়ে মৎস্য চাষের সময় ও এই ফুলের চাষ করা যায়। ফুলটি পরিপক্ক হয়ে চার পাঁচ দিন থাকে। সচরাচর এই ফুলের চাষ খুব কম মানুষজন করে।
যার ফলে রক্ত শাপলা ফুল প্রায় দেখা যায় না বললেও চলে।ওই সুধীর দেবনাথ পুজোর মরশুমে একটি ফুল ১০ টাকা দামে বিক্রি করেন। তবে অল্প কায়িক পরিশ্রমে এই ফুল চাষ করে লাভের মুখ দেখা যায়। সেই দিকে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এই রক্ত শাপলা ফুল চাষাবাদ করে দুস্থ পরিবারের লোকজনরা ও স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে এক মাধ্যমও হয়ে উঠতে পারে। রক্ত শাপলা ফুল আবার বাংলাদেশেও পাওয়া যায় বলে জানান সুধীর দেবনাথ।
0 মন্তব্যসমূহ