মধু এবং মতি-কে সিপাহীজলা অভয়ারণ্য থেকে এনে রাখা হলো মুঙ্গিয়াকামী স্থিত হাতি ক্যাম্পে-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা 
১৮ ডিসেম্বর
শানিবার

তেলিয়ামুড়া 
প্রতিনিধিঃ  বণ্য দাঁতাল হাতিকে পোষ মানানোর জন্য এবং পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান গড়ে তোলার লক্ষ্য মাত্রাকে সামনে রেখে মধু এবং মতি-কে সিপাহীজলা অভয়ারণ্য থেকে এনে রাখা হলো মুঙ্গিয়াকামী

স্থিত হাতি ক্যাম্পে। জানা যায়, বিগত কয়েক বছর পূর্বে তেলিয়ামুড়া মহাকুমার মঙ্গিয়াকামী এলাকায় আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের পার্শ্ববর্তী ঘন জঙ্গলে হাতি ক্যাম্প এবং পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য রাজ্য বণ দপ্তর থেকে কাজ শুরু করেছিল। অবশেষে পরীক্ষামূলক ভাবে সিপাহীজলা অভয়ারণ্য থেকে মধু এবং মতি নামক দুইটি

              হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

পুরুষ হাতিকে মঙ্গিয়াকামী স্থিত হাতি ক্যাম্পে নিয়ে আসা হলো শুক্রবার রাতে। কারণ, সিপাহী জলা অভয়ারণ্যে হাতির খাদ্য সংকট থাকলেও কিন্তু মুঙ্গিয়াকামী হাতি ক্যাম্পের আশপাশ এলাকাটি হাতের খাদ্যের জন্য পরিপূরক স্থান। কারণ মঙ্গিয়াকামী এলাকার গভীর বনাঞ্চলে প্রচুর বাঁশ গাছ এবং কলাগাছ পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। যা হাতির প্রধান খাদ্য হিসেবে ব্যাবহৃত হয়। অন্যদিকে হাতির প্রসঙ্গ টেনে খোয়াই জেলা বন আধিকারিক ডঃ নিরাজ কুমার চঞ্চল জানান,, বর্তমানে হাতি ক্যাম্পের জায়গাটি ধীরে ধীরে একটি পার্ক গঠন করা হবে। 

যাতে পর্যটকরা এখানে এসে আকর্ষিত হয়ে ওঠে। হাতি ক্যাম্প সহ পার্কটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পেলে পরবর্তী সময়ে সিপাহীজলা অভয়ারণ্য থেকে আরো দুটি হাতি কে নিয়ে আসা হবে এই হাতি ক্যাম্পে। তাছাড়া তিনি বলেন, এই হাতি ক্যাম্পটি ৮টি হাতি প্রতিপালনের ক্ষমতা সম্পন্ন করে গড়ে তোলা হয়েছে। তাছাড়া এই হাতি ক্যাম্পটি আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের পার্শ্ববর্তীতে অবস্থিত হওয়ায় ভবিষ্যতে প্রচুর সংখ্যক পর্যটক এই পার্কটিতে ভিড় জমাবে বলে তিনি আশা ব্যাক্ত করেন। তবে বনদপ্তর সূত্রের খবর, তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের অধীন বিস্তীর্ণ এলাকায় যে পণ্য তাতাল হাতের উন্মক্ত তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে সেগুলি থেকে পরিত্রান দিতেই এই পোষ্য হাতিকে ব্যাবহার করা হবে। এতে অনেকটা পরিত্রাণ'ও পাওয়া যাবে বন্য হাতির তাণ্ডব থেকে। তবে হাতির সমস্যা নিরসনে তেলিয়ামুড়া বনদপ্তর কতটুকু সফল হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu