সবুজ ত্রিপুরা
২৪ ডিসেম্বর
শুক্রবার
তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ বন্যহাতির তাণ্ডবে দিশেহারা জনতা। অবশেষে দীর্ঘ প্রায় ছয় ঘণ্টা পথ অবরোধে শামিল হল স্থানীয় জনগণ।ঘটনা তেলিয়ামুড়ায় পৃথক পৃথক দুই দুইটি স্থানে।
সংবাদে প্রকাশ, তেলিয়ামুড়া মহকুমার কৃষ্ণপুর বিধানসভার অধীন চাকমা ঘাট, কপালি টিলা, ডিএম কলোনি, নয়নপুর, উত্তর কৃষ্ণপুর, মধ্য কৃষ্ণপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রায় প্রতি রাতেই বন্য দাঁতাল হাতির দল উন্মুক্ত তাণ্ডব চালায়। বন্যহাতির তাণ্ডবে উৎপাদিত কৃষকের ফসল ধান, ধ্বংসের পথে। প্রতিরাতেই হাতির আক্রমণে বাড়িঘর ছেড়ে নিজেদের প্রাণ বাঁচিয়ে বেরিয়ে আসতে হচ্ছে জনগণের।
হাতির দল ভেঙ্গে তছনছ করে দিচ্ছে জনগণ মানুষের বাড়িঘর । বৃহস্পতিবার রাতে বন্য হাতি উন্মাদ তাণ্ডব চালায় ডিএম কলোনি এলাকায়। হাতির আক্রমণে প্রায় ৯০ বছর বয়স্ক এক বৃদ্ধা আহত হয়। এলাকার জনগণ হাতি তাড়াতে সাধ্যমত চেষ্টা করলেও বনদপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যায়নি বলে অভিযোগ এলাকা বাসীদের। প্রতিরাতে হাতির দল হামলা চালিয়ে জনগণের বাড়িঘর নষ্ট করে দিচ্ছে, সেই সাথে গোলার ধান শেষ করে দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার এরই প্রতিবাদ জানিয়ে প্রথমে তেলিয়ামুড়া মহকুমা শাসকের কার্যালয়ের সন্নিকটে আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কে সকাল ১১ টা নাগাদ পথ অবরোধে বসে জনগণ। তাদের একটাই দাবি হাতির আক্রমণ থেকে তাদের রক্ষা করতে হবে। পথ অবরোধের খবর পেয়ে সাথে সাথেই মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ঘটনাস্থলে এসে পথ অবরোধ মুক্ত করতে চেষ্টা করে, যদিও কোনো লাভ হয়নি, অপরদিকে উত্তর কৃষ্ণপুরের অফিস টিলা এলাকাতেও একই সময়ে সড়ক অবরোধে নামে এলাকার জনগণ। চাকমা ঘাট এলাকা জাতীয় সড়কে পথ অবরোধে শত শত গাড়ি আটকে যায়। খবর পেয়ে বন দপ্তরের ফরেস্ট রেঞ্জার সুপ্রিয় দেবনাথ, মহকুমা বন আধিকারিক সাবির কান্তি দাস এসে জনগণের কাছে পথ অবরোধ প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান , কিন্তু আন্দোলনকারীরা পথ অবরোধ প্রত্যাহার করেনি, পরবর্তীতে ছুটে আসেন জেলা বন আধিকারিক ডঃ নিরাজ কুমার চঞ্চল। কিন্তু এলাকার মানুষ দাবি জানান,, বনমন্ত্রী এসে কথা দিতে হবে সমস্যা সমাধানের। এলাকার জনগণের অভিযোগ, প্রতি রাতে যখন হাতির তান্ডব চলে তখন বনদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করা হলে শুধুমাত্র কিছু বাজি দিয়েই নিজেদের গুটিয়ে রাখেন দপ্তর। অবশেষে রাজ্য বন দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক'রা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ।
এবং কথা বলেন এলাকাবাসীদের সাথে,এলাকার জনগণ জানায় দুটি হাতি প্রতিদিন রাতে আক্রমণ চালাচ্ছে,সেই হাতিদের সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানায়। তাদের এখান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারি সহযোগিতার আশ্বাসে পথ অবরোধ মুক্ত হয়। পরবর্তীতে যদিও এলাকার জনপ্রতিনিধি, বন দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক সহ এলাকা বাসী দের মধ্য থেকে কয়েক জন প্রতিনিধিদের নিয়ে জেলা বন আধিকারিকের কার্যালয় এক সাক্ষাতে মিলিত হয় সকলে। এবং সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হাতির সমস্যা নিরসনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বনদপ্তর।
0 মন্তব্যসমূহ