ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের মেয়াদ আরও পাচ বছর বাড়ানো হয়েছে-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা 
০৬ ডিসেম্বর
সোমবার


নিজেস্ব  প্রতিনিধিঃ  গত ২ ডিসেম্বর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এ বিষয়ে চুক্তি সাক্ষরিত হয়। ভারত সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ২০১০ সালের ১১

জানুয়ারি স্বাক্ষরিত মৌ অনুযায়ী ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছিল। সেই চুক্তির মেয়াদ ১৬ মার্চ, ২০২ ১ তারিখে শেষ হয়। গত ২৩ জানুয়ারি ঢাকাতে অনুষ্ঠিত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য গঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্লুপ/ জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে এই চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। গত ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশে দুই পক্ষের প্রতিনিধিরা এক ত্রি-পাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেন। 

                                      হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

চুক্তির মেয়াদকাল ধার্য হয় ১৭.০৩.২০২১ থেকে ১৬.০৩.২০২৬ পর্যন্ত। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবং  উপমুখ্যম্ত্রী জিষ্ণু  দেববর্মার পরামর্শ অনুযায়ী বিদ্যুৎ দপ্তরের তৎকালীণ সচিব কিরণ গিত্যে এবং ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ডা. এম এস কেলে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা চালিয়ে টুক্তির মেয়াদ, শর্তাবলী ইত্যাদি নির্ধারণ করেন। ভারতের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন টি এস ই সি এল -এর এমডি ডা. এম এস কেলে, এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যাপার নিগম লিমিটেড (এনভিভিএন) এর সিইও প্রভীন সাক্সেনা এবং বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ সচিব এবং বিপিডিবি-র ডাইরেক্টর।উল্লেখ্য প্রথম টুক্তি অনুযায়ী শুরুতে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের সিদ্ধান্ত হলেও ২০১৬ এর মার্চ মাসে তার পরিমাণ বাড়িয়ে ১৬০ মেগাওয়াট করা হয়। কিন্তু ২ ডিসেম্বর ২০২১ এ স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুসারে টিএসইসিএল বাংলাদেশে ১৬০ মেগাওয়াট + ২০ শতাংশ (সর্বোচ্চ ১৯২ মেগাওয়াট) পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে।

টুক্তি অনুযায়ী ১ম বছর অর্থাৎ ১৭ মার্চ ২০২১ থেকে এক বছরের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে প্রতি কিলোওয়াট ৬.২৭ টাকা দামে এবং এনভিভিএন-এর মারজিন থাকবে ০১/কিলোওয়াট পয়সা হারে। দ্বিতীয় বছর থেকে প্রতি বছর ২ শতাংশ হারে এই দাম বাড়বে। এই চুক্তি ২০১৬-এর ১৮ মার্চ স্বাক্ষরিত চুক্তিরই এক অংশ হিসেবে গণ্য হবে এবং ভবিষ্যতে পারস্পরিক নির্ধারিত শর্তে মেয়াদ বাড়ানো যাবে। টিএসইসিএল এক প্রেস রিলিজে এই চুক্তি ভারতের আজাদী কা অমৃত এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন তথা ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের এক প্রতীক বলে উল্লেখ করেছে৷


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu