এই গতি বৃদ্ধি কখনো কখনো আবার স্বাভাবিক গতিকে চাপিয়ে বেগতিক হয়ে উঠছে।যার দরুন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অন্যান্য সড়কের তুলনায় আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কে যানসন্ত্রাসের প্রবনতা অনেক ক্ষেএেই হারে পরিলক্ষিত হচ্ছে।এই ধরনের গতি বৃদ্ধির ফলে কখনো পথচলতি জনগন আবার কখনো যান চালক গন দূর্ঘটনায় স্বীকার হচ্ছেন।কেউ কেউ দূর্ঘটনা স্হলে আবার কেউ কেউ চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে পৃথিবী থেকে চীরতরে বিদায় নিচ্ছেন।এদের মধ্যে আবার কেহ কেহ চীরতরে পঙ্গুত্বকে বরন করে শয্যাশায়ী হয়ে পরছেন।এই ধরনের এক যান দূর্ঘটনা প্রত্যক্ষ করল উওর জেলার পানিসাগরের হতবাগা জনগন।ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে,ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট রাতা ছড়া এলাকার পেশায় অটোচালক অলক দেব(২৫) পিতা অজিত দেব নিজের টি,আর,০২ বি,৪৪০৬ নম্বরের পিয়াগো অটোটি বিকল হওয়ার কারনে ত্রুটি সারাইয়ের জন্য টি,আর,০৫ সি,১৭২৯ নম্বরের একটি টাটা ম্যাজিক গাড়ি দিয়ে দড়ি বেঁধে কুমারঘাট থেকে ধর্মনগরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে পানিসাগর মহকুমার অন্তর্গত অগ্নিপাশা জে,বি,স্কুল সংলগ্ন এলাকায় আসতেই আকস্মিক ভাবে দড়িটি ছিড়ে যাওয়াতে অটোটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দূর্ঘটনার কবলে পড়ে।
জানা গেছে দুটি গাড়িই ছিলো প্রচন্ড গতিতে,এর ফলে অটোচালক অটোথেকে ছিটকে রাস্তার পাশে পরেযায়।দূর্ঘটনার বিকট শব্দে আশপাশ এলাকার লোকজন ছুটে এসে অটোচালককে গুরুতর আশন্কাজনক অবস্হায় স্হানীয় একটি গাড়ি করে পানিসাগর হাসপাতালে প্রেরন করে।পানিসাগর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকগন অটোচালকের অবস্হার বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে রেফার করে।তবে পানিসাগর হাসপাতালে কোন এম্বুলেন্স না থাকাতে ঐ গাড়ি করে পাটিয়ে দেওয়া হয় পানিসাগর ফায়ার সার্ভিসে।ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে গাড়িকরে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে প্রেরন করেন।তবে এতেও শেষ রক্ষা করা সম্ভব হয়ে উঠেনি।হাসপাতালে পৌছানোর পূর্বেই অটোচালক মৃত্যুর কোলে ডলে পড়েন।হাসপাতাল কতৃপক্ষ তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।পরবর্তীতে দূর্ঘটনা স্হল থেকে অভিশপ্ত অটোটিকে পানিসাগর থানার পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়ে আসে।তবে টাটা ম্যাজিক গাড়িটিকে পুলিশি পায়নি।আইনিগত প্রক্রিয়া অনুযায়ী মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর ধর্মনগর হাসপাতাল কতৃপক্ষ পরিবারের হাতে তোলে দিবে।
0 মন্তব্যসমূহ