জনজাতিদের আর্থ সামাজিক মান উন্নয়নে বহুমুখী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে : জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা 

০৮ ডিসেম্বর

বুধবার

নিজেস্ব  প্রতিনিধিঃ রাজ্যের জনজাতিদের আর্থ সামাজিক মান উন্নয়নে বহুমুখী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

জনজাতিদের কল্যাণে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়িত হচ্ছে আজ করা হয়েছে। শিলং-এ জনজাতি ছাত্রছাত্রীদের জন্য বয়েজ হোষ্ট্রেল নির্মাণের কাজ খুব শীঘ্রই শুরু করা হবে। 

                                হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন


এছাড়া জনজাতি সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার সুবিধার্থে দিল্লি, গুয়াহাটি, চেন্নাই, মুহ্বাই, হায়দ্রাবাদে এস টি হোস্টেল খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া আজ আগরতলার মেলারমাঠে নবনির্মিত ত্রিতল বিশিষ্ট কুমারী মধুতী রূপশ্রী (কে এম আর) অতিথিশালার উদ্বোধন করে একথাগুলি বলেন। ০.২৫৬ একর জায়গায় উপর নির্মিত এই অতিথিশালায় মোট ৬৪টি শষ্যা রয়েছে। এর মধ্যে ৩০টি পুরুষদের, ৩০টি মহিলাদের ও ৪টি দিব্যাঙ্গজনদের জন্য রাখা হয়েছে। প্রদীপ জ্বেলে ও ফলক উন্মোচন করে এই অতিথিশালার উদ্বোধন করে জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া বলেন, এর আগেও ২নং এম এল এ হোস্টেল সংলগ্ন কে এম আর অতিথিশালা ছিল। 

কিন্তু এখন এটি অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। নতুন ত্রিতল বিশিষ্ট এই অতিথিশালা চালু হওয়ায় জনজাতি সাবুম থেকে আগরতলায় এসে এই অতিথিশালায় ৫০ থেকে ১০০ টাকা ভাড়ায় এখানে থাকতে পারবেন। অন্য হোটেলে থাকতে গেলে অনেক টাকা ভাড়া দিতে হবে। যারা আগরতলায় সজ্জি ও অন্যান্য পণ্য বিক্রয় করে রাতে বাড়ি ফিরতে পারবেন না, তারাও এখানে রাত্রি যাপন করতে পারবেন। তিনি বলেন, এই অতিথিশালা সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় স্থানীয়দেরও সহযোগিতা করতে হবে। পরস্পরের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রেখে ও শান্তি শৃঙ্খলায় সকলকে একসাথে চলতে হবে। বিশেষ অতিথির ভাষণে জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের সচিব পুণিত আগরওয়াল বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রক এই অতিথিশালা নির্মাণের অনুমোদন দেয়। 

এখানে থাকার ও খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে৷ তিনি বলেন, জনজাতিরা যাতে আরও সুযোগ সুবিধা পান সে বিষয়ে রাজ্য সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা ডা. বিশাল কুমার। স্বাগত ভাষণ দেন জেলা উন্নয়ন আধিকারিক বি রাঙ্খল। উপস্থিত ছিলেন জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের অতিরিক্ত অধিকর্তা এ এইচ হালাম, চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সঞ্চয়িতা দাস, অন্যান্য আধিকারিকগণ, শিল্পী ও ছাত্রছাত্রীগণ। উল্লেখ্য এই অতিথিশালা নির্মাণে এমপিএ প্রকল্পে ৪৯৪.২২ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে ত্রিপুরা আবাসন ও নির্মাণ পর্যদ এই অতিথিশালা নির্মাণ করেছে। উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন ত্রিপুরা স্টেট একাডেমী অব ট্রাইবেল কালচারের শিল্পীগণ।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu