দেশের বিভিন্ন নামকরা শিক্ষা সংস্থার মাধ্যমে স্বল্প সংখ্যক ছাত্রছাত্রী রয়েছে এমন বিদ্যালয়গুলিতে গুণগতমানের শিক্ষা সম্প্রসারণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে : শিক্ষামন্ত্রী-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা 

০৮ ডিসেম্বর

বুধবার

নিজেস্ব  প্রতিনিধিঃ রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার বিভিন্ন বিদ্যালয় যেখানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা শুণ্য বা অতি নগন্য সেই সব বিদ্যালয়ের সম্পদকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন ঘটানোর উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। 

এক্ষেত্রে শিক্ষা ব্যবস্থার পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত দেশের বিভিন্ন বিখ্যাত সংস্থাকে এ সমস্ত বিদ্যালয়গুলি পরিচালনা করার জন্য শিক্ষাদপ্তর আহান জানিয়েছে আজ সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ এই সংবাদ জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত ২৬ অক্টোবর, ২০২১ তারিখে মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, যে সমস্ত বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতির হার শূণ্য বা অতি নগন্য সে সমস্ত বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে গুণগতমানের শিক্ষা প্রদান করার উদ্যোগ নেবে শিক্ষা দপ্তর। তিনি জানান, রাজ্যে মোট ৪,২০০টির মতো বিদ্যালয় রয়েছে। 

                                 হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন


এরমধ্যে ২,৬০০”র মতো বিদ্যালয় সরাসরি রাজ্য সরকার দ্বারা পরিচালিত এবং ১,৬৩০টি বিদ্যালয় এ ডি সি দ্বারা পরিচালিত। রাজ্য সরকার দ্বারা পরিচালিত বিদ্যালয়গুলির মধ্যে এমন ৩টি বিদ্যালয় রয়েছে যেখানে ছাত্রসংখ্যা শৃণ্য, ৩টি বিদ্যালয়ে রয়েছে ১ জন ছাত্র ১টি বিদ্যালয়ে রয়েছে ২ জন ছাত্র এবং ২টি বিদ্যালয়ে রয়েছে ৩ জন ছাত্রছাত্রী। সেরকম এডিসি পরিচালিত বিদ্যালয়গুলির মধ্যে এমন ৪টি বিদ্যালয় রয়েছে যেখানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা শূণ্য, ২টি বিদ্যালয়ে ছাত্র সংখ্যা ১ জন এবং ৪টি বিদ্যালয়ে রয়েছে ২ জন ছাত্রছাত্রী। দীর্ঘদিন ধরেই এই বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা এরকম অবস্থায় ছিল। রাজ্য সরকার সেই বিদ্যালয়গুলিকে চালু করার চেষ্টা করছে। সেজন্য শিক্ষাদপ্তর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের বিভিন্ন নামকরা শিক্ষা সংস্থার মাধ্যমে সেই বিদ্যালয়গুলি পরিচালনার মাধ্যমে গুণগতমানের শিক্ষা সম্প্রসারণ করা।

তিনি জানান, রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের শিখনস্তরের উন্নয়ন ঘটাতে, গ্রামীণ এলাকায় সেন্টার অব এডুকেশনাল এক্সিলেন্স তৈরী করতে, শিখন পদ্ধতিতে নতুনত্ব আনতে, কম্পিউটার ও ত্যান্টিভিটি ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু ইত্যাদির জন্য বিভিন্ন শিক্ষা সংস্থাকে বিদ্যালয় শিক্ষা ব্যবস্থায় যুক্ত হতে আহান জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে শিক্ষা সংস্থাগুলিকে দেশের অন্তত ২টি সি বি এস ই অনুমোদিত বিদ্যালয়ে ১৫০০ মতো ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনা পরিচালনা করার যোগ্যতা থাকতে হবে অথবা ১টি বিদ্যালয় হলে কমপক্ষে ১০০০ ছাত্রছাত্রী হতে হবে এবং দ্বাদশ মান পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের পর পর ৩ বছর গড়ে ৮৫ শতাংশ মার্কস থাকতে হবে। সেই সমস্ত সংস্থাগুলিকে রাজ্য সরকার জমি লীজ দেওয়ার ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ ডিসকাউন্ট দেবে। অনুরূপভাবে কোন সংস্থার পরিচালিত বিদ্যালয়ে দ্বাদশমান পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের গড় নম্বর ৮০-৮৪ শতাংশ হলে ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্ট এবং ৭৫-৮০ শতাংশ হলে ৪০ শতাংশ ডিসকাউন্ট দেবে রাজ্য সরকার। রাজ্যের মুখ্য সচিবের নেতৃতে সরকার সেই শিক্ষা সংস্থাকে সরকারি সম্পদ বা জমি লিজে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে৷ শিক্ষামন্ত্রী জানান, ছাত্রছাত্রীর স্বল্পতার দরুণ যে সমস্ত বিদ্যালগুলি শিক্ষা সংস্থার হাতে পরিচালনায় দায়িতু তুলে দেওয়া হবে সেই বিদ্যালয়গুলি বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের বই, পোশাক সহ পড়াশুনা ব্যবস্থা রাজ্য সরকার বহন করবে। পাশাপাশি এ বিদ্যালয়গুলিতে ভর্তির ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ আসন গরিব ছাত্রছাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। রাজ্য সরকার সেই সমস্ত গরিব ছাত্রছাত্রীদের বই, পোশাক ও পড়াশুনার ব্যয়ভার গ্রহন করবে। গ্রামাঞ্চলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে গুনগত মানের শিক্ষা আরো বেশী করে প্রসারের জন্যই শিক্ষাদপ্তর এই পলিসি গ্রহন করেছে। তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের ছোট্ট একটা অংশ এই সত্য বিষয়টিকে লুকিয়ে রেখে অসত্য তথ্য প্রকাশ করে রাজ্যের মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগকে ভুল ব্যাখ্যার মাধ্যমে  ব্যবস্থায় সর্বনাশ ডেকে না আনার জন্য শিক্ষামন্ত্রী আহান জানিয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলন এছাড়াও শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা চান্দনী চন্দ্রান উপস্থিত ছিলেন।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu