গাড়ি নিয়ে চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লো দুই চোর-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা 
২৩ ডিসেম্বর
বৃহস্পতিবার

বক্সনগর প্রতিনিধিঃ বক্সনগরে চোরির ঘটনা অব্যাহত। প্রতিনিয়ত কোথায় না কোথায় ঘটে চলছে চুরি ডাকাতি।এই চুরি-ডাকাতি যেন কিছুতেই থামতেই চাইছে না।

এর পেছনে একদিকে যেমন রয়েছে প্রশাসনিক দুর্বলতা,তেমনি অন্যদিকে রয়েছে চোরদের অতি বাড় বাড়ন্ত।একের পর এক চুরির ঘটনায় দিশেহারা এলাকাবাসী।গত  কয়েকমাসে বক্সনগরে কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটে যায়।

              হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

এমন একটি চুরির ঘটনা ঘটে কলমচৌড়া থানাধীন দক্ষিণ কলমচৌড়া কপালি টিলা এলাকায়।ঘটনার বিবরণে জানা যায় বুধবার সকাল ৭ ঘটিকার সময় বক্সনগর কলসীমুড়া এলাকার দুই ছিটকে চোর প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার কপালি টিলা এলাকায় রাবার চুরি করতে যায়।রাবার চুরি করে বাড়ি ফেরার পথে ওই এলাকায় রাস্তার পাশেই তাঁদের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।এলাকাবাসী গাড়িটির দুর্ঘটনা দেখে এগিয়ে এসে দেখতে পায় গাড়ির মধ্য প্রচুর রাবার শিট মজুত রয়েছে। তখন এলাকাবাসী রাবার শিট দেখতে পেয়ে দুই চোরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে রাবার শিট গুলা এই এলাকা থেকে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার পথে গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। আর তখনই গ্রামবাসী ধৃত দুই চোরকে হাতেনাতে ধরে উত্তমমধ্যম দিয়ে কলমচৌড়া থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়।ধৃত দুই চোর হলেন বক্সনগর কলসিমুরা এলাকার দুলাল মিয়া ও জীবন দাস।এলাকাবাসী জানান ঐ এলাকার জনসাধারণ অতি পরিশ্রমের ফলে রাবার শিট বানিয়ে যখন রুদ্রের শুকানোর জন্য বাহিরে ছড়িয়ে দেয়।তখন এই সুযোগ বুঝে চোরের দল অতি সহজে চুরি করে নিয়ে অন্য জায়গায় বিক্রি করে দেন।
জানা গেছে গত এক বছর যাবৎ এই রাবার চুরির ঘটনা ঘটে যাচ্ছে ঐ এলাকায়।কিন্তু কে বা কারা এই চুরির সাথে জড়িত তারা টের পায়নি।তবে আজকের এই চুরির ঘটনায় স্পষ্ট বুঝা গেছে যে এই চুরির সাথে এই দুই ছিটকে চোরই জড়িত ছিল।এর আগেও এই দুই চোরের বিরুদ্ধে নানা চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত রয়েছে।জানা গেছে গত ছয় মাস আগেও দুলাল মিয়া চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে 6 মাস জেল খাটে।তবু শুধরায়নি দুলাল মিয়া।যে গাড়ি দিয়ে তারা চুরি করতে চায় গাড়িটি ছিল মারুতি সুজুকি কোম্পানির।যার নাম্বার টি আর ০৭-সি -০৫৮৪। অপর জনের সাথে একটি একটি পালসার বাজাজ কোম্পানির বাইক ছিল। যার নাম্বার ছিল  টি আর -০১ কে -৭১৬৫ নম্বরের।দুই চোরের কাছে গাড়ি ও বাইক পেয়ে ক্ষুব্ধ জনতা চুদের উত্তম-মধ্যম সহ গাড়ি ও বাইক ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়।তবে সংবাদ লেখা এলাকার জনসাধারণ সুনির্দিষ্টভাবে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি।বর্তমানে দুই ছিটকে চোর থানার হেফাজতে রয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu