পাচার রুখতে গুলি ছোঁড়ে বিএসএফ, গুলিবিদ্ধ ১৯ বছরের এক যুবক-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা 

০২ ডিসেম্বর

বৃহস্পতিবার

বক্সনগর প্রতিনিধিঃ সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও পাচার কার্য বন্ধ নেই। তবে বিএসএফ জওয়ানরা পাচার বন্ধ করার জন্য যথাসম্ভব প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।


সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ জওয়ানদের সাথে স্থানীয় নাগরিকদের ঝামেলা লেগেই আছে। এ যেন একটা ট্রেডিশনে পরিণত হয়েছে।বুধবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় বক্সনগর রহিমপুর সীমান্ত দিয়ে একদল পাচারকারী সীমান্তের মাদকদ্রব্য পাচারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএসএফ রাবার বুলেট চালাতে বাধ্য হয়। শেষ পর্যন্ত এই বুলেটের আঘাতে আহত হয় রহিমপুর এলাকার ১৯ বছরের এক যুবক। যুবকের নাম সাইফুল ইসলাম। পিতার নাম শহিদ মিয়া।

                          হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

বাড়ির রহিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ নং ওয়ার্ড পশ্চিমপাড়া বাজারের নিচে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায়। ঘটনার বিবরণে জানা যায় বুধবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় রহিমপুর বাজার থেকে একদল পাচারকারী মাদকদ্রব্য নিয়ে ১৬৮ নম্বর গেইট এর পাশ দিয়ে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার ওপর দিয়ে মাদকদ্রব্য বেড়ার ওপর দিয়ে ঢিল ছোড়ে।ঢিল দিতেই মাদকদ্রব্য  বেড়ায় আটকে যায়।পরবর্তী সময়ে পাচারকারীরা ওই মাদক দ্রব্য গুলি বেড়া থেকে আনতে গেলে কর্তব্যরত জোয়ান বিষয়টি দেখতে পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। প্রথমে মাদকদ্রব্য নিয়ে বিএসএফ  ও পাচারকারীর মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়।পড়ে তা বড় আকার ধারণ করে। বিএসএফ পাচারকারীদের সাথে ধস্তাধস্তি করে পেরে না উঠতে জীবন রক্ষার্থে তার নিউজ রাইফেল থেকে পিজি গান অর্থাৎ রাবার বুলেট ছুঁড়ে। তাতে পাচারকারী সাইফুল আলমের মাথার খানিকটা নিচে ঘাড়ে গুলি লাগে। গুলি বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে সাইফুল রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যায়।পরে অন্য পাচারকারীরা সাইফুলকে ধরাধরি করে প্রথমে রহিমপুর বাজারে নিয়ে আসা হয়।কিছুক্ষণ বাজারে রাখার পর গুলিবিদ্ধ সাইফুল আলমকে বক্সনগর সামাজিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসে।কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাঁপানিয়া হাসপাতালে রেফার করে দেন। 

বর্তমানে সাইফুল আলম হাঁপানিয়া হাসপাতাল চিকিৎসাধীন। এই ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতিক রহিমপুর এলাকায় জোয়ারের হাতিয়ার  ছিনিয়ে নিয়ে যায় পাচারকারীরা। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা খোঁজাখুঁজি করার পর এলাকার মানুষের সহযোগিতায় জোয়ানের হাতিয়ার উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার পর থেকেই সীমান্ত জওয়ানদের কড়া প্রহরী লক্ষ্য করা যায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu