বিশালগড় প্রতিনিধিঃ পরমহিলার সাথে স্বামীর অবৈধ সম্পর্কের কথা জানতে পারে , আত্মঅভিমানে নিজেই ঘুমের ঔষধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা এক গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটে বিশালগড় মহকুমার অন্তর্গত রতন নগর এলাকায়।
খবরে প্রকাশ রবিবার সকাল ১১ টা ৩০ মিনিট নাগাদ বিশালগড় থানার অন্তর্গত রতননগর এলাকায় গৃহবধূ সুস্মিতা বেগম তার স্বামীর অবৈধ সম্পর্কের জেরে নিজেই এদিন ঘুমের ঔষধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। জানা যায় গত কয়েক বছর আগে সামাজিক রীতিনীতি মেনে বক্সনগর এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বিশালগড় রতননগর এলাকার সুস্মিতা বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস ঠিক ভাবে চললেও, সুস্মিতা বেগমের সন্তান হবার পর সুস্মিতা বেগমের ওপর শুরু হয় তার স্বামীর নির্মম অত্যাচার ও মারধর।
এমনটাই অভিযোগ করেন গৃহবধূ সুস্মিতা বেগম। এদিকে গৃহবধূ সুস্মিতা বেগম স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সে তার বাপের বাড়ি রতন নগরে চলে আসে। আর এদিকে পাষণ্ড স্বামী হাবিবুর রহমান তার বিবাহিত স্ত্রীর অনুপস্থিতে অন্য এক মহিলার সাথে প্রেমের লীলায় জড়িয়ে পড়ে। আর সেই অবৈধ সম্পর্কের কথা জানতে পেরে গৃহবধূ সুস্মিতা বেগম অভিমানে নিজেই ঘুমের ঔষধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ।
পরবর্তী সময়ে বাড়ির লোকেরা তা দেখতে পেয়ে সুস্মিতা বেগমকে নিয়ে আসে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে। গৃহবধূর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই গৃহবধূকে আগরতলা হাপানিয়া হাসপাতালে রেফার করে। কিন্তু অবাক করার বিষয় হচ্ছে গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা ওই গৃহবধূকে হাপানিয়া না নিয়ে বরং বাড়িতে চলে যায়। শুধু তাই নয় স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের ক্যামেরার সামনে গৃহবধূ তার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গেলে পরিবারের লোকজন গৃহবধূকে বাধা দান করে। যা নিয়ে একপ্রকার রহস্য তৈরী হয়েছে। এদিকে গৃহবধূ সুস্মিতা বেগম জানান তার স্বামী হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিশালগড় থানায় একটি মামলা করবেন।
0 মন্তব্যসমূহ