ভারতীয় স্তরের আবৃত্তি পরীক্ষায় শাস্ত্রীয় ও ক্রিয়াত্মক ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে ত্রিপুরার বিশিষ্ট আবৃত্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শ্রুতিপুরম্-এর ছাত্রী শ্রীমতি বহ্নিশিখা ভট্টাচার্য্য-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা 
১৪ ডিসেম্বর
মঙ্গলবার

নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ ২০১৯-২০২০ ইং বর্ষের বঙ্গীয় সঙ্গীত পরিষদ আয়োজিত 'আবৃত্তি রত্ন' ৭ম বর্ষ -এর সর্ব ভারতীয় স্তরের আবৃত্তি পরীক্ষায় শাস্ত্রীয় ও ক্রিয়াত্মক ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে স্বর্ণপদক লাভ করে

ত্রিপুরার বিশিষ্ট আবৃত্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শ্রুতিপুরম্-এর ছাত্রী শ্রীমতি বহ্নিশিখা ভট্টাচার্য্য।বহ্নিশিখা ৫ম বর্ষ পর্যন্ত আবৃত্তি শিখেছিল ধর্মনগরের অন্য আরেকটি আবৃত্তি শিক্ষা কেন্দ্র কথাচিত্র থেকে। সেখান থেকে ৫ম বর্ষের পরীক্ষায় সে ভালো নম্বরসহ প্রথম বিভাগ নিয়ে  উত্তীর্ণ হয়েছিল।তারপর বহ্নিশিখার বাবা-মা ওকে   শ্রুতিপুরম্-এ ভর্তি করিয়ে দেন।               হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন


শ্রুতিপুরম্-এর আবৃত্তি গুরু শ্রীমতী ইন্দ্রানী চক্রবর্ত্তীর কাছে মাত্র সে ৩ বছর তালিম নিয়ে ২০১৯-২০২০ সনের পরীক্ষায় সর্ব ভারতীয় পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেতে সক্ষম হয়েছে।বহ্নিশিখার ৭ম বর্ষ পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল ধর্মনগরের গীতিমালঞ্চ সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়। গতকাল  ১২/১২/২০২১ ইং আগরতলার মুক্তধারা প্রেক্ষাগৃহে বঙ্গীয় সঙ্গীত পরিষদ আয়োজিত সমাবর্তন উৎসব  মঞ্চ থেকে ত্রিপুরার বিশিষ্ট শিল্পী শ্রদ্ধেয়া সুব্রতা সোম মহোদয়ার হাত দিয়ে শ্রীমতী বহ্নিশিখা ভট্টাচার্য্য স্বর্ণ পদক গ্রহণ করে।পুরস্কার বিতরণ মঞ্চে বিশেষ অতিথির আসনে উপবিষ্ট ছিলেন ত্রিপুরার বিশিষ্ট শিল্পী শ্রীমতী সুব্রতা সোম,শ্রী রতন চক্রবর্ত্তী, শ্রীমতী ইন্দ্রানী চক্রবর্ত্তী এবং শ্রী প্রতাপ রঞ্জন নাথ প্রমুখরা। অনুষ্ঠান  পরিচালনা ও সঞ্চালনায় ছিলেন বঙ্গীয় সঙ্গীত পরিষদের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সদস্য তথা রাজ্যের বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী শ্রদ্ধেয় উদয়শঙ্কর ভট্টাচার্য্য এবং বঙ্গীয় সঙ্গীত পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শ্রদ্ধেয় শ্যামল গাঙ্গুলি মহোদয়গণ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ করতে হয় যে, বহ্নিশিখা আবৃত্তি রত্ন পরীক্ষার পাশাপাশি একই সনে মাধ্যমিক পরীক্ষায়ও প্রায় ৯০% নম্বর কুড়িয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে।আবৃত্তির পাশাপাশি ভিন্ন ভিন্ন সেশনে বহ্নিশিখা সঙ্গীত, নৃত্য(কত্থক ও রবীন্দ্র নৃত্য), অঙ্কনকলা বিষয়েও খুব ভালো নম্বর পেয়ে(First Division with Distinction) বিশারদ (৫ম বর্ষ) ডিগ্রী কমপ্লিট করে নিয়েছে।ষোড়শ বর্ষিয়া বহ্নিশিখার বাবা শ্রীযুক্ত শ্যামল ভট্টাচার্য্য কর্ম জীবনে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্হ NIC দপ্তরে আধিকারিক হিসাবে নিযুক্ত  ছিলেন এবং মা শ্রীমতী আরাধনা ভট্টাচার্য্য উচ্চ শিক্ষিত হয়েও চাকুরীতে যোগদান না করে একজন সফল মা হিসাবে মেয়ের চতর্মূখী বিকাশে লিপ্ত রয়েছেন।বহ্নিশিখার এই অভূতপূর্ব রেজাল্টে শ্রুতিপুরম্ পরিবারের সবাই খুব খুশি।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu