এদিনের কার্যসূচীর ডালিতে ছিল ভোরবেলা মঙ্গলারতি সঙ্গীত ও প্রভুপাদের স্নান সমাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভারাম্ভ।এরপর নগর কীর্তন সহযোগে শ্রীশ্রী প্রভুর শ্রীমন্দিরে আগমন। পরে গুরু গীতা মাধ্যমে শ্রীশ্রী গুরু মহিমা পাঠ তৎসঙ্গে শ্রীশ্রী গীতা যজ্ঞের সূচনা শেষে প্রভুপাদের পূজার্চনা অঞ্জলি প্রদান করা হয়।দুপুর একটা থেকে প্রভুর জীবনী নিয়ে আলোচনা ভক্তিমূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।সন্ধ্যায়(এক`শ সাত)টি প্রদীপ নিয়ে মন্দির পরিক্রমা শেষে রাধাকুণ্ডে বিসর্জন দেওয়া হয।
উল্লেখ তিন দিনব্যাপী উৎসব পালনে শুরু থেকেই আয়োজক কমিটি তৎপর ছিলেন।ফলে দৃষ্টি নন্দন ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল পুরো মন্দিরটিকে।(আঠারো)ডিসেম্বর শনিবার শুভ অধিবাসের মধ্যে দিয়ে সূচনা হয় উৎসবের।রবিবারের অনুষ্টানের মুল আকর্ষন ছিল(এক`শ আট)জন ভক্ত সমাবেশে গীতা যজ্ঞের আসর।এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উত্তর ত্রিপুরার ধর্মনগরের পন্ডিত রামানন্দ ভট্টাচার্য ত্রিপুরা আগরতলার এমবি কলেজের সংস্কৃত বিভাগের প্রাক্তন প্রধান রামেশ্বর ভট্টাচার্য এবং করিমগঞ্জ কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ রাধিকারঞ্জন চক্রবর্তী।এই মহতী মহাযজ্ঞে গীতা যজ্ঞ দান করেন বারইগ্রামের আশিষ দাস ও সজল দাস।
পরে অনুষ্টিত হয় এক মনোজ্ঞ আলোচনা সভার।প্রদীপ প্রজ্বলন করে সভার সূচনা করেন শিক্ষাবিদ রাধিকারঞ্জন চক্রবর্তী।উপস্থিত ছিলেন আশ্রমের সভাপতি সুনীল পাল সম্পাদক তরুণ চৌধুরী কোষাধ্যক্ষ কৌশিকরঞ্জন দে সত্য রায় কার্তিক পাল সুভাষ দাস গুণজ্যোতি দত্ত প্রমুখ।আলোচনায় অংশ নেন মানিকলাল সূত্রধর বিধান চন্দ দাস বীথিকা দত্ত বাসন্তী দে প্রমুখ।সোমবার রথযোগে প্রভুর প্রতিকৃতি নিয়ে নাম কৃতনের মাধ্যমে নগর পরিক্রমার মাধ্যমে আবির্ভাব তিথি অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
0 মন্তব্যসমূহ