সবুজ ত্রিপুরা
৩১ ডিসেম্বর
শুক্রবার
কদমতলা প্রতিনিধিঃ মাটি খনন কার্য্যে পাথারকান্দির কলকলিঘাটে আবিষ্কৃত প্রাচীন হনুমান মন্দির সহ ধংসাবশেষ দেখতে গত কয়দিন ধরে কৌতুহলি জনতার উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে মন্দির চত্তরে।জানা গেছে
গত পক্ষকাল পূর্বে এলাকার একটি পরিত্যক্ত স্থানে মাটি খনন করতে গিয়ে পৌরাণিক ও অলৌকিক এই মন্দিরে সন্ধান পান স্থানীয়রা। এমন খবরটি ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারও পেয়েছে।এই মন্দিরের ইতিবৃত্ত সম্পর্কে স্থানীয় প্রবীণ নাগরিকরা জানান করিমগঞ্জ জেলা স্বাধীনতার পূর্বে সুরমা উপত্যকার অন্তর্গত ছিল।ভারত স্বাধীন হওয়ার সময় বর্তমান করিমগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানে সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত হবে বলে জল গড়াতে শুরু করে।এতে করিমগঞ্জ জেলার সাড়ে তিন থানার জনগন প্রতিবাদে গর্জে উঠেন।উক্ত প্রতিবাদের ঢেউ আচড়ে পড়ে পাথারকান্দির সীমান্তবর্তী কলকলিঘাটে।এতে তৎকালিন
স্থানীয় বিশিষ্ট নাগরিক সুরেশ তেওয়ারীর নেতৃত্বে দেশের সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুকে অত্র এলাকাটি ভারতে থাকর উদ্দেশ্যে একটি স্মারকপত্র প্রদান করা হয়।একিসাথে স্থানীয়রা ঠাকুরের কাছে মানত করেন যে তাদের দাবি সফল হলে কলকলিঘাটে একটি মন্দির নির্মাণ করে হনুমান মুর্তি স্থাপন করা হবে।উক্ত মন্দিরে প্রতি চৈত্র মাসে ঘটা করে বাসন্তী পূজাও করা হবে।পরবর্তিতে করিমগঞ্জ জেলার সাড়ে তিন থানা এলাকা ভারতে অন্তর্ভুক্ত হয়।এমন খুশিতে স্থানীয়রা পুর্ব প্রতিশ্রুতি মুতাবেক গ্রামে বাসন্তী পূজার আয়োজন করেন।তখন বাংলাদেশ থেকে বাসন্তী
দেবীর প্রতিমা নির্মাণের উদ্দেশ্যে প্রতিমা শিল্পী রসিক পালকে আমন্ত্রণ করে মুর্তি তৈরী করে পূজা দেওয়া হয়।পাশে বসে বিরাট মেলাও।পুজোর পর প্রতিমা শিল্পী রসিক পাল আর বাংলাদেশে না ফিরে করিমগঞ্জে স্থায়ী ভাবে বসবাস করে প্রতিমা নির্মাণ কেন্দ্র প্রতিমা শিল্পালয় প্রতিষ্ঠা করেন।তারপর কৃষ্ণরাম কানু মহাশয়ের নেতৃত্বে মন্দির নির্মাণ করে স্থায়ী ভাবে হনুমানের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়।কিন্তু এক সময়ে নিয়মিত পচির্যার অভাবে মন্দিরটি আগাছায় পরিপূর্ণ হয়ে জনগনের নজরের আড়ালে চলে যায়।এভাবেই কেটে যায় প্রায় সাড়ে সাত দশক।বর্তমানে ফের মন্দিরটির সন্ধান বের হলে স্থানীয়দের পক্ষে সন্তোষ কানু চন্দন চালিয়া মনোজ দেব বিকাশ সিনহা বিশাম্বর গোয়ালা রূপম মালাকার কন্দর্প চক্রবর্তী সুশোভন পাণ্ডে(ভিকি)সুরজ কানু উত্তম সিনহা প্রমুখ এগিয়ে এসে মন্দিরটিকে পরিপাটি করে পূজা ও দর্শনের যৌগ্য করে তোলেন।
0 মন্তব্যসমূহ