নিজেস্ব প্রতিনিধিঃকমলপুরের বড়লুতমায় তিনদিন ব্যাপী ১২৫ তম মহারাসলীলা উৎসব ও মেলার দ্বিতীয় দিনে গতকাল বিমল সিংহ স্মৃতি মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনজাতি
কল্যাণ মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব বলেন, বড়লুতমার এঁতিহ্যবাহী মহারাসলীলা উৎসব ও মেলা চিরায়ত ধারাকে অব্যাহত রেখে আজ ১২৫ বছরে পা রেখেছে। বিষুুপ্রিয়া মণিপুরি সম্প্রদায়ের এই উৎসব ও মেলা ত্রিপুরা সহ উত্তরপূর্বাঞ্চলে
এক দৃষ্টান্ত স্বরূপ। প্রধান অতিথির ভাষণে জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া বলেন, রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই ছোট ছোট জাতিগোষ্ঠীর উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। রাজ্যের সমস্ত জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি, শিক্ষা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে অগ্রাধিকার দিয়েছে সরকার। তিনি বলেন, বিষ্ণুপ্রীয়া মণিপুরি সম্প্রদায়ের নিজম্ব সাংস্কৃতিক ধারা, ধর্মীয় রীতিনীতির চর্চার চিরায়ত এঁতিহ্য বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
তিনি বলেন, মেলা ও উৎসবের গুরুতু শুধুমাত্র ব্যবসা বাণিজ্য, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এই ধরণের মেলা ও উৎসব, জনগণের মধ্যে আন্তরিকতাবোধ, এক্য, সামাজিক ভাবনাকে জাগ্রত করে।বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে বড়লুতমায় আয়োজিত মহারাসলীলা উৎসব ঠিক এই ভাবনায় এ কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, এটা না হলে এই আয়োজন ১২৫ বছরে পা দিতে পারত না। সংখ্যালঘু অংশের একটি ধর্মীয় রীতিনীতির অনুষ্ঠানকে ঘিরে এত লোকের সমাগম ও সম্ভব হত না। তাই তিনি এই মেলা ও উৎসবের উত্তোরত্তর শ্রীবৃদ্ধি বাসনা করেন। দ্বিতীয় দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মুন্বাই থেকে আগত শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।
0 মন্তব্যসমূহ