থানা সূত্রে প্রাপ্ত খবরে এরকম যে, অকুস্থলে খুন হল দুই অবুঝ সন্তান সহ আরো চারজন। বধ্যভূমির নাম শেওড়াতুলি, ভিড় চৌমুহনী, উত্তর রামচন্দ্রঘাট। থানা সূত্রে জানা গেছে,এই এলাকার অসিত দেবরায়ের পুত্র তথা খুনি প্রদীপ দেবরায়(কুট্টি) বিগত কয়েকদিন ধরে মানসিক
অবসাদে ভুগছিলেন। তিনি তেমন ভাবে মানুষজনের সাথে কথা না বললেও শুক্রবার আচমকাই উত্তেজিত হয়ে পড়ে। শাবল দিয়ে অবুঝ দুই সন্তানকে নৃশংসভাবে খুন করে এবং স্ত্রী মীনা পাল দেবরায়'কে গুরুতরভাবে জখম করে। পরে প্রদীপ ঘর থেকে বেরিয়ে এলাকার মধ্যে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করতে থাকে। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এক পর্যায়ে প্রদীপ ভীড় চৌমুহনী এলাকায় বেরিয়ে পড়ে। এবং ওই রাস্তা ধরে অটোগাড়িতে করে আসা কৃষ্ণ দাস (৫৪) এবং উনার ছেলে করণবীর দাসকে গুরুতর ভাবে আঘাত করে।
এতে ঘটনাস্থলেই কৃষ্ণ দাসের মৃত্যু হয়। ঘটনার খবর যায় খোয়াই থানায়। খবর পেয়ে খোয়াই থানার সেকেন্ড অফিসার সত্যজিৎ মল্লিক বিশাল পুলিশ ও টি.এস.আর বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। কিন্তু সেকেন্ড অফিসার সত্যজিৎ বাবু ঘটনাস্থলে পৌঁছার মুহূর্তেই উন্মুক্ত প্রদীপ সত্যজিৎ মল্লিকের উপর এলোপাথারি কোপাতে থাকে। ঘটনাস্থলে আরো বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত ও গুরুতরভাবে জখম হয়েছে। যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে প্রদীপকে পাকড়াও করে। পরবর্তীতে সকলের সহযোগিতায় রক্তাক্তদের নিয়ে আসা হয় খোয়াই হাসপাতালে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জিবি হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তবে নিজের পেশাগত কর্তব্য পালন করতে গিয়ে শহীদ হলেন খোয়াইয়ের সেকেন্ড অফিসার সত্যজিৎ মল্লিক। উনাকেও রাতেই জিবি হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছিল। তবে বিশ্বস্ত সূত্রের খবর,, প্রদীপ দেবরায় কে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এই ঘটনায় মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রদীপ দেবরায়ের অবুঝ ২ কণ্যা সন্তান, তার ভাই ও সাধারন এক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। তবে যতটুকু খবর রয়েছে, প্রদীপ দেবরায়ের স্ত্রী মীনা দেববায় কেও খোয়াই জেলা হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জিবি হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এবং সেখানেই দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে মৃত্যু হয়েছে মীনার। করণবীর দাসের চিকিৎসা চলছে খোয়াই হাসপাতালে। গোটা ঘটনায় খোয়াই জুড়ে থমথমে ভাব বিরাজ করছে।
0 মন্তব্যসমূহ