সবুজ ত্রিপুরা ১৯ নভেম্বর
শুক্রবার
নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ তিনদিনব্যাপী বন্মকুন্ড মেলা আজ শুরু হয়েছে। বন্মকুন্ড প্রাঙ্গণের মুক্তমঞ্চে (দেব)। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কারামন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল ব্রন্গাকুন্ড মেলার সরকারি বিভিন্ন প্রদর্শনী মন্ডপ উদ্বোধন করেন ও পরিদর্শন করেন।
তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং মোহনপুর মহকুমা প্রশাসন ও বন্মকুন্ড মেলা কমিটির যৌথ উদ্যোগে রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবছরও বন্মকুন্ড মেলার আয়োজন করা হয়েছে। তিনদিনব্যাপী ত্রন্মাকুন্ড মেলার উদ্বোধন করে পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা সরকার দেব এই ব্রহ্মকুন্ড মেলার এতিহ্য ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে সকলকে শান্তিপূর্ণভাবে মেলা উপভোগ করার আহ্বান জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মা। তিনি বলেন, কোভিড-১৯-এর নিয়ম মেনে সাধারণ মানুষের জন্য এবছর এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। কোভিডের ভয় এখনও সেভাবে কাটেনি। তাই তিনি সকলকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করে মেলার আনন্দ উপভোগ করার আহান জানান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি টিটিএএডিসির এমডিসি রবীন্দ্র দেববর্মা বলেন, বন্মকুন্ড ত্রিপুরার এক এতিহ্যবাহী তীর্থস্থান। এখানকার মেলায় রাজ্যের বাইরে থেকে ও লোক সমাগম হয়।
মোহনপুর বিএসি চেয়ারম্যান সুনীল দেববর্মা বলেন, ব্রন্মকুন্ড মেলা জাতি ও জনজাতির এক মিলন ক্ষেত্র। অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা বলেন, চা বাগান পরিবেষ্টিত অত্যন্ত সুন্দর মনোরম পরিবেশ এই বক্ষকুন্ড এলাকা। আগামীদিনে এলাকার আরও উন্নয়ন হবে। মেলা প্রাঙ্গণে চা বাগানের পাশে তৈরি হবে সীওতাল বিদ্রোহের নেতা সিধহু ও কানহুর মূর্তি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী যোগেন্দ্র দেববর্মা, সমীর ঘোষ ও ভানুরুদ্র পাল। অনুষ্ঠানে মোহনপুর কৃষি মহকুমা কার্যালয়ের উদ্যোগে ৪ জন কৃষককে সম্বর্ধনা দেওয়া হয় ও ১০ জন কৃষককে দেওয়া হয় সয়েল হেলথ কার্ড। অতিথিগণ এই কৃষকদের হাতে সব্র্ধনা সম্মান হিসেবে ২৫০০ টাকার চেক ও সয়েল হেলথ কার্ড তুলে দেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মোহনপুর কৃষি মহকুমা তন্তবধায়ক উত্তম কুমার সাহা। উপস্থিত ছিলেন মোহনপুর মহকুমার মহকুমা শাসক সুভাষ দত্ত। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের শিল্পীগণ। মেলা উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
0 মন্তব্যসমূহ