ধর্মনগর প্রতিনিধিঃ পশ্চিমবাংলা থেকে কিছু নাট্য অভিনেতা এসেছেন রাজ্যে তারা কখনও মোমবাতি নিয়ে রাস্তায় মিছিল করেছেন আবার কখনো গান করছেন কখনো আবার রাস্তায় নেমে কৃত্তন করছে। শুধু তাই না ১ জন চোর
নিরীহ মানুষের চিটফান্ডের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে দেড় বছর জেল খেটেছেন। সেও এসেছেন ত্রিপুরায়। শুধু তাই না তাদের তান্ডবে ইতিমধ্যে পশ্চিমবাংলা থেকে প্রায় লক্ষাধিক বিজেপি কর্মী সমর্থক পশ্চিমবাংলা ছেড়ে প্রাণ নিয়ে পালিয়েছে। তারা এখানে এসে বলছে বিজেপি শাসিত রাজ্যে জঙ্গল রাজ চলছে। এমনিভাবে নানা বাক্যবাণে বারবার তৃণমূল কংগ্রেসকে বিদ্ধ করলেন রাজ্যের
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সোমবার।তিনি আরো বলেন রাজ্যে যেদিন থেকে বিজেপি সরকার গঠিত হয়েছে সে দিন থেকেই রাজ্যের মানুষ বিশেষত যুবকদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার সংকল্প নিয়েছে।অথচ এ রাজ্যের কয়েকজন গাঁজা মাফিয়া পশ্চিমবাংলায় বসে আছে। পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে পশ্চিমবাংলা থেকে তাদেরকে ধরে আনার জন্য পশ্চিমবাংলা পুলিশের সাহায্য চেয়েছিলেন কিন্তু পশ্চিমবাংলা পুলিশ সাহায্য করে নি। বর্তমানে রাজ্যের তৃণমূলকে ঐ গাঁজা মাফিয়ারাই ফান্ডিং দিচ্ছে। রাজ্যবাসী কখনোই তৃণমূলের পক্ষে দাঁড়াবে না। রাজ্যের মানুষ বিজেপিকে বেছে নিয়েছে বিজেপির সাথেই থাকবে।প্রসঙ্গত সোমবার আসন্ন পুর পরিষদ নির্বাচনে ধর্মনগর পুর পরিষদের ২৫ জন বিজেপি মনোনীত প্রার্থীদের সমর্থনে সোমবার ধর্মনগর বিবিআই ময়দানে ভারতীয় জনতা পার্টির উদ্যোগে নির্বাচনী জনসভা আয়োজন করা হয়েছিল। জনসভার প্রধান বক্তা ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। সঙ্গে ছিলেন ধর্মনগরের বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার উপাধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন ।ছিলেন উত্তর ত্রিপুরা জেলার বিজেপি সভানেত্রী মলিনা দেবনাথ প্রমুখ। সোমবার দুপুর ১২ টায় নির্বাচনী জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল । ফলে বেলা ১২ টা থেকেই ধর্মনগর পুর এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে বিজেপি মনোনীত প্রার্থীদের নিয়ে সুসজ্জিত মিছিল বিবিআই ময়দানে শামিল হয়।দুপুর ২টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী এসে উপস্থিত হন বিবিআই ময়দানে। শুরু হয় নির্বাচনী জনসভা ।এই নির্বাচনী জনসভা থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বাম আমলের বামেদের বিভিন্ন কার্যকলাপ তুলে ধরেন। তিনি বলেন রাজ্যে বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার গঠিত হয়েছে সবে মাত্র ৪২ মাস হল এই খুব কম সময়ের মধ্যে রাজ্যের উন্নয়ন বিগত ৪০ বছরের সরকারের উন্নয়নকে পেছনে ফেলে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে ।তিনি বলেন এখন সরকারের কাছে কিছু চাইতে হয় না ।সরকার মানুষের দুঃখ কষ্ট উপলব্ধি করে মানুষের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করে দেয় ।বাম আমলে রাজ্যবাসীর ব্যক্তিগত ইচ্ছা বলতে কিছু ছিল না। পার্টি অফিস থেকে জনগনের ইচ্ছা-অনিচ্ছা নির্ধারণ করে দেওয়া হতো ।কিন্তু বর্তমান সরকার মানুষকে স্বাধীনভাবে বাঁচতে শিখিয়েছে। তিনি বলেন করোনাকালীন পরিস্থিতিতে মানুষ যখন ঘর থেকে বের হচ্ছিলোনা তখন দেশের কেন্দ্রীয় সরকার ঘরে থাকা জনগনের জন্য ১০০০ টাকার দ্রব্য সামগ্রীর বাড়ী বাড়ী পাঠিয়েছে।ভ্যাকসিন এর জন্য কোন আন্দোলন করতে হয় নি। এমনিতেই রাজ্যে প্রত্যেককেই ভ্যাকসিন এর আওতায় আনা হয়েছে। বাম আমলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পার্টি অফিস থেকে ঠিক করে তৎকালীন শাসক দলের কর্মী-সমর্থকদের দেওয়া
হতো। বিরোধীদের নাম কখনোই ঘরের লিস্টে আসতো না। কিন্তু বর্তমান সরকার শাসক-বিরোধী কোন ভেদাভেদ না দেখে যাদের ঘরের দরকার প্রত্যেককেই ঘর দিয়েছে। শৌচালয় দিয়েছে, এমনকি প্রতিজ্ঞা করা হয়েছে অটল জলধারার যোজনার মাধ্যমে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের
মধ্যে রাজ্যের প্রত্যেকটি মানুষের বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে। এইদিনের জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব আরো বলেন। মহিলা সশক্তিকরণ এর কথা চিন্তা করে ইতিমধ্যে বিভিন্ন সেল্ফ হেল্প গ্রুপ এর মধ্য দিয়ে মহিলাদের স্বনির্ভর করে তুলছে রাজ্যের বিজেপি জোট সরকার। আগামী দিন আরো বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্য দিয়ে মহিলা সশক্তিকরণ অর্থাৎ মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলা হবে। সোমবারের জনসভায় ধর্মনগর পুর পরিষদের প্রাক্তন বাম কাউন্সিলর প্রবীর সিনহা, সান্তনা ভট্টাচার্য, সুস্মিতা দাস সহ বেশ কয়েকজন সিপিআই(এম)ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন , তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
0 মন্তব্যসমূহ