সবুজ ত্রিপুরা
১১ আগস্ট
বুধবার
বক্সনগর প্রতিনিধিঃ আজ থেকে প্রায় ৩০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে লক্ষ্মী আসেন সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়া মহুকুমার মেলাঘরে এলাকায়। জানা যায় তার কোন সন্তান নেই, নেই কোনো
আত্মীয় পরিজন প্রায় ৩০ বছর ধরে মেলাঘর এবং মেলাঘর এলাকার আশেপাশের বিভিন্ন জায়গা অনির্দিষ্টকালের জন্য বসবাস করছেন লক্ষ্মী নামে এই মহিলা। নেই কোন সরকারি কাগজপত্র এবং নেই
কোন নিজস্ব বাসভবন। অনেকটা ভবঘুরের মতন দিনযাপন করছেন ওই মহিলা। কোনরকমে মানুষের কাছ ভিক্ষা করে ক্ষুদার জালা মিটাচ্ছেন। দিনের বেলা এদিক ওদিক চলাফেরা করার পর যখন রাত্রি ঘনিয়ে আসে তখন মেলাঘর মোটর স্ট্যান্ড এর বাইক রাখার জন্য
একটি ঘর তৈরি করা হয় ,ঐ ঘরের এক কনে লক্ষ্মীকে প্রায় সময় থাকতে দেখা যায়। যেখানে কুকুর থাকার উপযুক্ত নয় , সেখানে ওই মহিলা প্রায় দীর্ঘদিন ধরেই বসবাস করে আসছে্ন। যা আজকে আমাদের ভদ্র সমাজে কাছে লজ্জাজনক। লক্ষ্মীর এই পৃথিবীতে আপনজন বলতে কেউ নেই। জানা যায় প্রতিদিন লক্ষী এই ঘরের
ভিতরে রোদ বৃষ্টি ঝড়কে উপেক্ষা করে কোন রকমের দিনযাপন করছেন। এই লক্ষ্মী আবার নোকিয়া বার কালী মায়ের ভক্ত। সবসময় কালী মায়ের পুজো করে থাকেন। কিন্তু ভাগ্যের ভারে লক্ষীর শেষবেলা কাঁদো হয়ে গেছেন। অত্যন্ত কাতর মনে লক্ষ্মী সমাজের
কাছে এবং ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের কাছে সাহায্যের চেয়েছেন। লক্ষী চাইছেন তার কাগজপত্র হোক, তার জন্য একটি নির্দিষ্ট বাসস্থানের ব্যবস্থা করক সরকার এমনটাই দাবি রাখেন বৃদ্ধা।অন্যদিকে
মেলাঘরের কিছু শুভবুদ্ধি সম্পন্ন লোক সামান্য কিছু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে তারাও সরকারের কাছে আবেদন করছে এই লক্ষ্মীর জন্য সরকার যাতে তাকে একটি বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়।
0 মন্তব্যসমূহ