১৬ জুলাই
শুক্রবার
বক্সনগর প্রতিনিধি - ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব ঈদ। এই ঈদ বছরে দুটি বার হয়ে থাকে ।একটি রমজানের ঈদ ও অন্যটি কোরবানির ঈদ বলে খ্যাত ।রমজান একটি আরবি মাসের নাম ।এই
মাসে মুসলিম নর-নারীরা একমাস সিয়াম সাধনা অর্থাৎ উপবাসের মাধ্যমে রোজা রেখে ঈদের সূচনা হয় ।এই ঈদের মধ্যে নতুন পোশাক পরিচ্ছদ কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকেন মুসলিম ধর্মালম্বীরা।
অন্যদিকে কুরবানীর ঈদে তেমন পোশাক-পরিচ্ছদ কেনাকাটার কোন আগ্রহ বা ব্যস্ত থাকে না। শুধু ইসলামিক ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্য যার যার প্রিয় পশুকে কুরবানী
করার জন্য পশু ক্রয়ের আকাঙ্ক্ষায় ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু এবছরের কুরবানি ঈদ উৎসব একটু ব্যতিক্রম ঈদ উৎসব জাতীয় উৎসব হলেও এবছর করুনা নামক মহামারীর জন্য উৎসব তেমন আনন্দমুখর নয়। কারণ রাজ্যে করুনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মানুষের মনে এক আতঙ্ক বিরাজ করছে। মানুষ ঈদ উৎসবে মেতে উঠবে নাকি করুনার প্রতিরোধ গড়ে তুলবে একেবারে
দিশাহীন হয়ে পড়েছে।এমতাবস্থায় ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষের রাষ্ট্রীয় আইন কানুন মেনে ঈদ উৎসব পালন করবে এবছর ।তাই প্রত্যেক বছরের ন্যায় এ বছরও সোনামুড়া মহকুমার মুসলিম অধ্যুষিত
মধ্যে বাজার শেষ করার জন্য নির্দেশ রয়েছে ।এই বাজারে নিয়ম রয়েছে সামাজিক দূরত্ব ,মাক্স ব্যবহার করা।এইসব নিয়ম মেনে পশু ক্রেতা-বিক্রেতা সকলেই বাজারের পশুর হাটসম্পন্ন করেছেন ।এই
উৎসব এর প্রধান কার্যক্রম পশু কুরবানী।এই পশু কুরবানীর একটি ইসলামিক ইতিহাসের প্রেক্ষাপট রয়েছে ।এই কোরবানির সূচনা হয় ইসলাম ধর্মের ধর্মগুরু অর্থাৎ নবী ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম এর এক
করুন ইতিহাসের মধ্য দিয়ে ।ইব্রাহিম আলাই -ই-সাল্লাম কে আল্লাহ পাক হুকুম করেছিলেন তার প্রিয় পুত্র ইসলামকে আল্লাহর রাস্তায় কোরবানি দেওয়ার জন্য। কিন্তু ইব্রাহিম আলাই- ই-সাল্লাম আল্লাহর
এতোই আনুগত্য ছিল যে, তার প্রিয় পুএ ইসমাইলকে কোরবানী করতে রাজি হয়ে গেছেন।এবং যখন ইসমাইলকে কুরবানি করতে শায়িত করেন তখন আল্লাহ তাঁর আনুগত্য দেখে এবং হুকুম পালন
কারী বুঝতে পেরে ইসমাইলের জায়গায় একটি ছাগল হাজির করল।তখন এই দুম্বা বা ছাগল কুরবানী করলেন ।এই করুণ ইতিহাস থেকেই কুরবানীর প্রচলন হয়।এটি ইসলাম ধর্মের একটি এবাদত।যাদের দিন
নেই,কুরবানী দেওয়ার সামর্থ্য আছে তারাই কুরবানী দিতে পারবেন এবং আল্লাহর হুকুম বা এবাদত হিসাবে গণ্য হবে।এই কুরবানীর নিয়ম প্রিয় পশুকে কুরবানী করা। কোরবানির পশু গুলি হল গরু,
ছাগল, মহিষ, প্রভৃতি।এ বছরের পশুর হাট জমজমাট হলেও ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলক কম।কারন বাংলাদেশে গরু পাচার করতে পারছে না তাই গরুর দাম এত বেশি নয় তবুও মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কম।
কারণ মানুষের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। বক্সনগর বাজারের সর্বোচ্চমুল্য উঠেছে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। তাছাড়া এই পশুর হাটে গরুর পাশাপাশি ছাগলও বিক্রেতারা নিয়ে আসে। তবে এই দিনের
সবচেয়ে বড় যে ছাগলটির দাম 55 হাজার টাকা পর্যন্ত উঠেছে। ছাগলের মালিক 60 হাজার টাকা হলে বিক্রি করবেন বলে জানান। শান্তিপূর্ণভাবে পশুর বাজারটি সম্পূর্ণ হয়।
0 মন্তব্যসমূহ