বিশেষ প্রতিনিধি:- রাজ্যে করোনা অতিমারি নিয়ন্ত্রণে ২৫ মে ২০২১–এর আদেশের করোনা দিনের কার্টু ৫ জুন, ২০২১-এর বিকাল ৪টা পর্যন্ত এবং করোনা নাইট কাফু ৬ জুন, ২০২১-এর সকাল ৫টা পর্যন্ত আরোপ করা হয়। কিন্তু রাজ্য সরকার পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে দেখেছে নগর স্বশাসিত সংস্থা ও গ্রামীণ এলাকায় করোনা রাত ও দিনের কাফুর মেয়াদ আরও কিছুদিন বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
তাই ত্রিপুরা স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির স্টেট এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে মুখ্য সচিব এক আদেশে কিছু নির্দেশিকা জারি করেছেন। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, করোনা দিনের কার্ফু রাজ্যে ৬ জুন, ২০২১-এর সকাল ৫টা থেকে ১০ জুন, ২০২১-এর বিকাল ৬টা পর্যন্ত জারি থাকবে। সারা রাজ্যে করোনা নাইট কার্ফু ৬ জুন ২০২১-এর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১১ জুন, ২০২১-এর সকাল ৫টা পর্যন্ত জারি থাকবে। ১৯ মে, ২০২১-এর আদেশে উল্লিখিত কারণ ছাড়া এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাতায়াত বন্ধ থাকবে ১০ জুন, ২০২১-এর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
উল্লিখিত সময়ে করোনা দিনের কার্ফু চলাকালীন সময়ে বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে। মুদির দোকান, সজি, দুধ, মাংস, মাছ, প্রাণী খাদ্য ইত্যাদি দ্রব্য বিক্রয়কারী এককভাবে পরিচালিত দোকান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। বাকি সমস্ত দোকানপাট ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সব সময় বন্ধ থাকবে। শপিং মল ও মার্কেট কমপ্লেক্স সব সময় বন্ধ থাকবে। সরকারি যানবাহন ছাড়া বাকি যানবাহন শুধু জরুরি প্রয়োজনে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলতে পারবে। তবে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি প্রয়োজনে ২টার পরও যানবাহন চলতে পারবে।
দুপুর ২টা থেকে পরদিন সকাল ৫টা পর্যন্ত চলাফেরা বিশেষ ছাড় ব্যতীত সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। জরুরি পরিষেবার বাইরে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। তবে গ্যাজেটেড অফিসার ও বেসরকারি সিনিয়র এক্সিকিউটিভরা প্রয়োজনে সীমিত কর্মী নিয়ে বিকাল কাজ করতে পারবেন। সামাজিক, রাজনৈতিক বিনোদন মূলক ধর্মীয় উৎসব বন্ধ থাকবে। সরকারি বৈঠক ছাড়া বন্ধ বা খোলা জায়গায় কোনও স্থানেই বৈঠক করা যাবে না। সরকারি বৈঠকেও সর্বোচ্চ ২০ জন অংশগ্রহণ করতে পারবে।
রেস্টুরেন্ট, ধাবা দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। যেসব কার্যকলাপ কার্ফুর আওতার বাইরে থাকবে তা হল- আইন-শৃঙ্খলা, পুর পরিষেবা, বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা ও জেলা প্রশাসন, পুলিশ, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ অগ্নি নির্বাপক, পানীয় জল, সংবাদমাধ্যম, জেল, আদালত, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের কার্যালয় এবং কোভিড- ১৯ মোকাবিলায় নিয়োজিত সরকারি কর্মী ও যানবাহন চলাচল করতে পারবে। বাস, ট্রেন ও বিমান থেকে নামার পর টিকিট দেখিয়ে যাত্রীরা তাদের গন্তব্যস্থলে যেতে পারবেন।
খাদ্য, ঔষধপত্র, মেডিক্যাল সরঞ্জাম ও ই-কমার্সের মাল পরিবহণকারী কর্মী ও যান চলচল করতে পারবে। সমস্ত ধর্মীয় স্থান বন্ধ থাকবে। প্লাম্বিং, ইলেকট্রিশিয়ান, মেকানিক ও গৃহস্থালীর সরঞ্জাম মেরামতকারী ব্যক্তিরা চলাচল করতেপারবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং মাস্ক ব্যবহার করে গ্রামীণ এলাকায় কৃষি সংক্রান্ত কাজ চলবে। উল্লিখিত নির্দেশিকা অমান্যকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৫ এবং আইপিসি-র ১৮৮ ধারায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
0 মন্তব্যসমূহ