মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করলেন ৬০০ এমপিএল অক্সিজেন প্ল্যান্ট ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজে - Sabuj Tripura News

সবুজ ত্রিপুরা
১২ জুন
শনিবার

বিশেষ প্রতিনিধি:- কোভিড- ১৯ অতিমারি মোকাবিলায় বিশ্বের অনেক বড় বড় দেশ যখন হিমসিম খাচ্ছে তখন ১৩০ কোটির এই দেশে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে সঠিক ব্যাবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় সরকার তার মোকাবিলা করছে। কারোর কল্পনার মধ্যেও ছিলোনা দেশীয় দুটি সংস্থার মাধ্যমে অতি অল্প সময়েই আমাদের দেশে কোভিড ভ্যাকসিন তৈরি করা সম্ভব হবে। প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্বেই এই সাফল্য এসেছে। 

গতকাল হাঁপানিয়াস্থিত ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে ৬০০ এমপিএল অক্সিজেন প্ল্যান্টের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তিনি বলেন দেশের একটা অংশের মানুষ দেশীয় কোভিড ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়ে ছিল। কিন্তু তারাই সবার আগে টিকা নিয়েছেন। কোভিড- ১৯ অতিমারি মোকাবেলায় প্রথম ধাপে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা ছিলো। এখন রাজ্য সরকার কোভিড- ১৯ অতিমারি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। ৮ জেলায় ৮টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করার পাশাপাশি জিবি হাসপাতালে, অটল বিহারী রিজিওন্যাল ক্যান্সার হাসপাতালে ও আইজিএমে অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ চলছে। 

আইজিএম হাসপাতালে যে অক্সিজেন প্ল্যান্টটি চালু হতে যাচ্ছে তা হবে উত্তর পুর্বাঞ্চলের সর্বোবৃহৎ প্ল্যান্ট। সবগুলি প্ল্যান্টই আগামী দু-মাসের মধ্যেই চালু হয়ে যাবে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। মুখ্যমন্ত্রী এজন্য দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যে করোনা রিকোভারি রেট ভাল। পজিটিভিটি রেটও ৫ শতাংশের নীচে নেমে এসেছে। যেখানে রাজ্যের কিছু কিছু জায়গায় পজিটিভিটি রেট ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছিলো। 

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিডে মৃত্যুর একটা অন্যতম কারণ সঠিক সময়ে কোভিড পরীক্ষা করা ও চিকিৎসার সুযোগ না নেওয়া। কোভিড সংক্রমণের ৫ থেকে ৮ দিন গুরুত্বপূর্ণ সময়। কোভিডে যাদের মৃত্যু হচ্ছে তাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা উপসর্গ থাকার পরেও পরীক্ষা করা বা চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণে গাফিলতি করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, টিএমসি হাসপাতালকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রথম সারির হাসপাতালগুলির সারিতে দেখতে চাই। 

তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই ১৮ বছরের ঊর্ধের নাগরিকদের টিকাকরণের ব্যয়ভার কেন্দ্রীয় সরকার বহন করবে বলে জানিয়েছে। যদিও এর আগেই ১৮ উর্ধের নাগরিকদের টিকাকরণে রাজ্য সরকার ১৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলো। কেন্দ্রীয় সরকারের এই ঘোষণার পর রাজ্যের মানুষের যেমন লাভ হয়েছে, তেমনি অর্থনৈতিকভাবে লাভ হয়েছে রাজ্য সরকারও। টিকাকরণের জন্য বরাদ্দকৃত এই অর্থ রাজ্য সরকার এখন স্বাস্থ্যক্ষেত্রের উন্নয়নে ব্যয় করতে পারবে। 

অনুষ্ঠানে এনএইচএম-এর রাজ্যের মিশন অধিকর্তা ডা. সিদ্ধার্থ শিব জয়সবাল বলেন, একটা সময়ে অক্সিজেনের জন্য আসামের উপর নির্ভশীল থাকতে হত। রাজ্যে এখন পর্যাপ্ত অক্সিজেন তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এদিন টিএমসিতে চালু হওয়া এই প্ল্যান্ট থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ১২০ জনকে অক্সিজেন সরবরাহ করা যাবে। তিনি জানান, কোভিড চিকিৎসার জন্য রাজ্যে এখনও ৪০শতাংশের অধিক অক্সিজেন বেড খালি রয়েছে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu