অবশেষে পানিসাগর নাবালিকা গণধর্ষণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত পুলিশের জালে - Sabuj Tripura News

সবুজ ত্রিপুরা
২ জুন
বুধবার

চুরাইবাড়ি প্রতিনিধি:- ঘটনার বিবরনে প্রকাশ, গত ২৮ মে শুক্রবার সকাল আনুমানিক ৮টা নাগাদ উওর জেলার পানিসাগর মহকুমার পাহাড়ি অধ্যুষিত এডিসি ভিলেজের সতেরো বর্ষিয়া উপজাতি নাবালিকাকে প্রেমের প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে প্রতারক প্রেমিক গাড়ি করে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে গাড়ির ভেতর গনধর্ষন চালায়। 

পানিসাগর নগর পঞ্চায়েত এলাকার সম্ভাব্য পরিবারের দুই ছেলে, রাজেশ রুদ্রপাল(২৭) পিতা-রাজ চন্দ্র রুদ্রপাল এবং পেষায় গাড়ি চালক শুভজিৎ সেন(২৭) পিতা-মৃত শঙ্কর লাল সেন তার নিজের এএস১০বি০১৩৩ নম্বরের গাড়িতে করে সতেরো বর্ষিয়া নাবালিকা মেয়েটিকে ফোন মারফৎ ডেকে আনে। তারপর পানিসাগরের চাঁদপুর গ্রামের গভীর জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে প্রথমে রাজেস এবং পরবর্তীতে গাড়িচালক শুভজিৎ বার কয়েক ধর্ষন চালায় বলে অভিযোগ। তারপর নাবালিকা মেয়েটির শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটলে মেয়েটি তার মায়ের কাছে সবিস্তারে ঘটনাটি জানায়। 

নির্যাতিতা নাবালিকার মুখ থেকে গণধর্ষণের কথা শোনার পর তার পরিবারের পক্ষথেকে পানিসাগর থানায় অভিযুক্ত তিন নরপিচাশের বিরুদ্ধে গনধর্ষনের মামলা দায়ের করা হয়। লিখিত অভিযোগ পেয়ে পানিসাগর থানার পুলিশ ২৬/২০২১ নম্বরের ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪২/৩৬৩/৩৭৬/(২)(আই)/৩৭৬(ডি)৫০৬ ধারা এবং ০৪ অফ পক্সো আক্টে মামলা হাতে নিয়ে তদন্ত শুরু করে দেয়। তদন্ত শুরু করেই পানিসাগর থানার পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষণকারী শুভজিৎ সেন এবং সহযোগী সঞ্জয় নাথকে আটক করতে সক্ষম হলেও মূল অভিযুক্ত রাজেশ রুদ্র পাল পালিয়ে যায়। 

সাথে আটক করা হয় ধর্ষণকাণ্ডে ব্যবহৃত বিলাসবহুল গাড়িটি। টানা চারদিন পালিয়ে বেড়ানোর পর গণধর্ষণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত রাজেশ রুদ্রপালকে চুরাইবাড়ি থানার পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। চুরাইবাড়ি থানার ওসি জয়ন্ত দাস গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুড়াইবাড়ি রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে অভিযুক্ত ধর্ষণকারী রাজেশকে গ্রেফতার করেন। তারপর সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে ধৃত ধর্ষণকারী রাজেশ রুদ্রপালকে পানিসাগর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে জানান ওসি জয়ন্ত দাস।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu