বিশেষ প্রতিনিধি:- করোনা কার্ফু জারি করায় রাজ্যের গরীব পরিবার গুলি অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। এই অবস্থায় সরকার খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে এই সমস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছে। সেই লক্ষ্যে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী কোভিড স্পেশাল রিলিফ প্যাকেজ স্কীমের’ ঘোষনা দিয়েছে। এই প্যাকেজের মাধ্যমে রাজ্যের ৭ লক্ষ গরীব পরিবারে কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌছানো হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিটি পরিবারে এক হাজার টাকা করেও প্রদান করা হবে।
নজরুল কলাক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী কোভিড স্পেশাল রিলিফ প্যাকেজ স্কীমের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব একথা বলেন। এই ধরণের বড় প্রকল্প রাজ্যে এর আগে কখনও নেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজী কোভিড মোকাবিলায় দেশের প্রতিটি প্রান্তে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনে চলার জন্য আর্থিক স্থিতিকে মজবুত করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন। দেশেই করোনা ভ্যাকসিন তৈরী করা হয়েছে, যা কারোর কল্পনার মধ্যেই ছিলনা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড মোকাবিলায় রাজ্য সরকারও বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহন করে কাজ করছে। ৪৫ উৰ্দ্ধ টীকাকরণে রাজ্য বর্তমানে দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা অতিমারি মোকাবিলায় আমাদের সকলকেই ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে চলতে হবে। তবেই করোনাকে জয় করা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে জনগণের সরকার জনগণের পাশেই আছে ও থাকবে। রাজ্যের বিভিন্ন ক্লাব, সামাজিক সংগঠন এবং সংবাদ মাধ্যম করোনা মোকাবিলায় যেভাবে এগিয়ে এসেছে তারজন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষনে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক রাভেল হেমেন্দ্র কুমার বলেন, কোভিডের এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী কোভিড স্পেশাল রিলিফ প্যাকেজ স্কীমের মাধ্যমে খাদ্যের প্যাকেট পৌছানোর ফলে রাজ্যের ৭ লক্ষ পরিবার উপকৃত হবে। এরজন্য রাজ্য সরকার ৮০ কোটি টাকা ব্যয় করবে। এই প্যাকেজের মাধ্যমে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার দেড় লক্ষ পরিবার উপকৃত হবেন। খাদ্য প্যাকেটগুলি রেশন শপের মাধ্যমেই প্রতিটি পরিবারে পৌছানো হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় এবং খাদি ও গ্রমোদ্যোগ পর্ষদের চেয়ারম্যান রাজীব ভট্টাচাৰ্য্য।
0 মন্তব্যসমূহ