ধর্মনগর প্রতিনিধি:- ত্রিপুরায় প্রতিদিন বাড়ছে করোনা সংক্রামনের হার। ফলে রাজ্যে করোনা নিয়ন্ত্রণে করোনা কারফিউ জারি করা হয়েছে। অপর দিকে রাজ্য জুড়েই করোনা সংক্রামিতদের সনাক্তকরণের মাধ্যমে প্রতিটি জেলায় গড়ে তোলা হয়েছে অস্থায়ী ভাবে কোভিড কেয়ার সেন্টার। একই মর্মে গত বৎসরও কঠিন করোনা পরিস্থিতিকে প্রতিহত করতে গোটা রাজ্যই গড়ে তোলা হয়েছিল কোভিড কেয়ার সেন্টার।
সেই মোতাবেক উওর জেলার পানিসাগর আরসিপিই কমপ্লেক্সের ইনডোর স্টেডিয়ামে এবং পানিসাগর স্পোর্টস স্কুলে গত বছর থেকেই খোলা হয়েছে অস্থায়ী কোভিড কেয়ার সেন্টার। অভিযোগ হলো, বিগত বৎসর থেকে শুরু করে এখন অব্দি পানিসাগর স্থিত দুটি
কোভিড কেয়ার সেন্টারেই কোভিড আক্রান্ত ব্যাক্তিদের চিকিৎসার পাশাপাশি এই কোভিড কেয়ার সেন্টারের চিকিৎসাধিন কোভিড আক্রান্তের একাংশের মধ্যে চলছে মোটা অঙ্কের বিনিময়ে অবৈধ রমরমা নেশা বানিজ্য।
অভিযোগ রয়েছে কোভিড কেয়ার সেন্টারে বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত কর্মীদের হাত ধরেই অবৈধ নেশা সামগ্রী কোভিড কেয়ার সেন্টারের ভিতরে প্রবেশ করে। কিন্ত কোভিড কেয়ার সেন্টারের মতো স্পর্শ কাতর পরিবেশে যেখানে সাধারন জনগনের অবাধ বিচরন নিষেধ। সেখানে চিকিৎসারত রোগিদের মধ্যে একাংশ ড্রাগস সেবনকারিদের কাছে ড্রাগস পৌঁছে যাওয়ায় কোভিড কেয়ার সেন্টারের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল এতদিন।
অবশেষে ৩০ মে রাত্রি বেলা পানিসাগর স্থিত দুই নং কোভিড কেয়ার সেন্টারে এক যুবককে ব্রাউন সুগার পাচার করার সময় হাতে নাতে ধরে ফেলে কোভিড কেয়ার সেন্টারের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা টিএসআর জওয়ান। জানাগেছে ঐ দিন রাত্রিতে ধলাই জেলার আমবাসা স্থিত ম্যাগাজিন পাড়ার বাসিন্দা শিবু দেব্বর্মা, পিতা- মৃত আনন্দ দেব্বর্মা ওর এক বন্ধু তথা ড্রাইভার দীপঙ্কর রায় কে একটি মোবাইল চার্জার দিতে পানিসাগর স্থিত দুই নং কোভিড কেয়ার সেন্টারের থাকা টিএসআর বাহিনীর হাতে একটি মোবাইল চার্জার দেন। এদিকে অভিযুক্ত শিবু দেববর্মা মোবাইল চার্জারের ভিতরে অত্যাধুনিক কৌশলে মোট সাতটি ব্রাউন সুগারের কৌটো ভরে দিয়েছিল।
কিন্তু কোভিড কেয়ার সেন্টারে প্রবেশের মুখে প্রহরারত টিএসআর জওয়ানদের হাতে চার্জারটি দিতেই সন্দেহ হয় এবং মোবাইল চার্জারটি ভালো করে চেক করতে গিয়েই আসল রহস্য হাতে নাতে ধরা পড়ে। ঘটনার পরই খবর পাটানো হয় পানিসাগর থানায়। খবর পেয়ে পানিসাগর থানার পুলিশ অভিযুক্ত শিবু দেববর্মাকে ড্রাগস সহ পানিসাগর থানায় নিয়ে আসে। এর বিরুদ্ধে একটি মামলা নিয়ে আদালতে সদর্প করার প্রক্রিয়া জারি রাখা হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ