ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিল এলাকাবাসী - Sabuj Tripura News

সবুজ ত্রিপুরা
১ জুন
মঙ্গলবার

বিশালগড় প্রতিনিধি :- চরিলাম আর ডি ব্লকের অন্তর্গত নন্দনকানন জেবি স্কুল। স্কুলের মধ্যে রয়েছে একটি পরিত্যক্ত ঘর। এই পরিত্যক্ত ঘরের মধ্যে দিবারাত্র চলছে নেশার আসর। হিরোয়িন ড্রাগস ট্যাবলেট মদ গাঁজা সহ বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্যের আসর। প্রতিদিন এই পরিত্যক্ত ঘরে আগরতলা থেকে দুটি স্করপিও গাড়ি আসে। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ টি মোটরবাইক আসে, জমে ওঠে নেশার আড্ডা। এতদিন পর্যন্ত বহিরাগতরা আসত এই নেশার আসরে। 

এখন থেকে ধীরে ধীরে এলাকার কয়েকজন যুবক ও তাদের সঙ্গে নেশায় জড়িয়ে পড়েছে। বিশাল বড় নেশার মাস্টারমাইন্ড রা এখানে আসে। গোটা বিধানসভার কোন কোন জায়গায় নেশা দ্রব্য বিক্রি হবে কোন কোন পয়সাওয়ালা ঘরের ছেলেকে টেনে আনা যাবে সমস্ত কিছুর ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয় এই স্থানে এমনটাই জানিয়েছে এলাকার জনসাধারণ। নেশাদ্রব্য পান করার পর নেশা কারবারিরা যাবার সময় স্কুল সংলগ্ন বাড়ি ঘরের বিভিন্ন সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যায়। 

এই স্কুলটি নির্জন স্থানে অবস্থিত, চতুর্দিকে টিলা আর রাবার বাগান। নেশা কারবারিরা রাবার বাগানের স্কেপ এবং সিট প্রতিনিয়ত চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এই নেশা কারবারিরা নেশার সঙ্গে সঙ্গে চুরি ডাকাতির কাজে লিপ্ত হচ্ছে। অনেক যুবক বাড়িঘরে থেকে গরু হাঁস-মুরগি পর্যন্ত বিক্রি করে দেয় নেশা পান করার জন্য। স্কুলের পরিত্যক্ত ঘরটির দরজা-জানালা পর্যন্ত ভেঙে নিয়ে গেছে নেশা কারবারিরা। কোথাও জানিয়ে কোনো লাভ হচ্ছে না বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। নির্জন স্থানে অবস্থিত হওয়াতে দিন দিন নেশার বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে এই স্থানে। এলাকাবাসী অভিজুগ পুলিশ প্রশাসন কোনো ভূমিকা নিচ্ছে না।

শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে এলাকার যুবকরা লাঠি কাঁধে নিয়ে হাতে টর্চ নিয়ে সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত্রি ৩ ঘটিকা পর্যন্ত পাহারা দিচ্ছেন। এই নেশার আসর নিয়ে গভীরভাবে চিন্তিত এলাকার অভিভাবকরা। যদি পুলিশ প্রশাসন অতি দ্রুত ভূমিকা গ্রহণ না করে তাহলে এলাকার যুবকরা গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবেন এই নেশা কারীদের বিরুদ্ধে। এমনটাই জানিয়েছেন রবিবার রাত্রি ২ ঘটিকায় সংবাদ মাধ্যমের সামনে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu