সরকারের আদেশকে অগ্রাজ্য করে কিস্তির টাকার জন্য চাপ দিতে গিয়ে আটক মাইক্রোফাইন্যান্সের কর্মী - Sabuj Tripura News

সবুজ ত্রিপুরা
৮ জুন
মঙ্গলবার

বিশালগড় প্রতিনিধি:- বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি মহামারীতে ত্রিপুরা রাজ্যের সমস্ত মাইক্রো ফাইন্যান্স কোম্পানি সাধারণ জনগণকে কিস্তির টাকা না দেওয়ার জন্য এবং তাদের উপর কোনরকম যেন চাপ সৃষ্টি না করে সেদিকে লক্ষ্য রেখে ত্রিপুরা রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মন সমস্ত ব্যাংক ফাইন্যান্স কোম্পানির কর্ণধারদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং করেছিলেন। সমস্ত মাইক্রো ফাইন্যান্স কোম্পানি গুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয় যেন কিস্তির টাকার জন্য কাউকে চাপ সৃষ্টি না করা হয়। 

কিন্তু ত্রিপুরা রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মন এর আদেশ কে অমান্য করে আজ বিশালগড় নবীনগর পঞ্চায়েতের ২ নং ওয়ার্ডের অসহায় হতদরিদ্র শ্রমজীবী পরিবারকে সাটিং মাইক্রো ফাইন্যান্স কোম্পানি কিস্তির টাকার জন্য সকাল থেকেই তাদের চাপ দিতে থাকেন সে সমস্ত অসহায় পরিবারগুলি জানিয়ে দেন যে তারা বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে কোনো রকম কাজ করতে পারছেন না এবং তারা এখন টাকা দিতে পারবেন না বলতেই একপ্রকার ক্ষুব্দ হয় কোম্পানির কর্মী তাদের উপর। 

তাদেরকে বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং যেকোন প্রকারে হোক তাদেরকে সেই টাকা এখনি প্রদান করতে হবে বলে। এরপর অসহায় হয়ে পরিবারগুলি একত্রিত হয়ে কর্মী সহ তার স্কুটি আটক করে রাখেন খবর দেন সংবাদমাধ্যমকে, সংবাদমাধ্যম ছুটে আসার পরও সেই কোম্পানির কর্মী তার নাম বলতে ইচ্ছুক নয় এবং সে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী যে কথা জানিয়েছিলেন সে সমস্ত ব্যাপারে সে কিছু বলতে পারল না। 

তার কথা অনুসারে যখন সংবাদমাধ্যম কার্ড দেখতে যান তখন সে নিজের কার্ড দেখাতে প্রয়োজন বোধ মনে করেনি। এলাকার শ্রমজীবী পরিবারগুলি সংবাদমাধ্যমকে কাছে পেয়ে তাদের যে ভাষায় গালিগালাজ করেছে মাইক্রো ফাইন্যান্স কোম্পানি কর্মী, তারা নিজে থেকে সেগুলি খুলে বলতে থাকেন। 

অবশেষে সেখান থেকে কোনরকম পালিয়ে আসে মাইক্রোফাইন্যান্স কোম্পানির কর্মী। সে কর্মীর পেছনে ছুটতে ছুটতে যখন সংবাদমাধ্যম মাইক্রোফাইনান্স কোম্পানির ঠিকানা খুঁজে কোম্পানিতে আসেন সেখানে এসে দেখেন অফিসে কোনো লোক নেই এবং মাইক্রোফাইনান্স কোম্পানির একটা সাইনবোর্ড পর্যন্ত নেই।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu