বক্সনগর প্রতিনিধি:- অসহায় এক পরিবারের প্রতি বক্সনগর বিদ্যুৎ অফিস আধিকারিকের মানবিকতা। জানা যায় গত ১লা মে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হন মানিক্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১নং ওয়ার্ডের নয়েনজলা এলাকার মৃত মাহাবুল ইসলামের স্ত্রী মমতাজ বেগম(৩৫)।পরিবারের লোকেদের সাথে বাড়ির পাশে রুখিয়া এলাকার জমিতে ধান মাড়াই করতে যান।
ধান মাড়াই করতে গিয়ে তীব্র গরমে জলের তৃষ্ণা মেটাতে পাশের বাড়িতে জল আনতে যাওয়ার সময় ধানের জমির উপরে মাত্র পাঁচ ফুট উঁচুতে ঝুলে থাকা বৈদ্যুতিক পরিবাহি তারের সাথে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ছিটকে পড়ে যান জমিতে। সাথে সাথে উনাকে প্রথমে বক্সনগর সামাজিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উনাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, গত সাত বছর আগে উনার স্বামী মাহাবুল ইসলাম মধ্যপ্রাচ্যের কুয়েতে কাজ করতে গিয়ে কঠিন এক রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল। উনার স্বামীর মৃত্যুর পর পরিবারের হাল ফেরাতে এই মহিলা রেগা শ্রমিকের কাজ করে সংসার প্রতিপালন করতেন।কিন্তু উনাকেও অকালে চলে যেতে হল।
অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া দুটি মেয়ের জীবনে যেন অনেকটাই আঘাত নেমে আসে। কিন্তু পরিবারটির এমন অসহায়ত্ত্বের কথা জানতে পেরে যেন নিজেকে আর দাবিয়ে রাখতে পারেননি খোদ বক্সনগর পাওয়ার সাব ডিভিশনের সিনিয়র ম্যানেজার পীযুষ কান্তি সূত্রধর।
তিনি নিজেই এগিয়ে এসে সেই পরিবার টির পাশে দাঁড়ালেন। নিজের উদ্যোগে এবং সহকর্মীদের সহযোগিতা নিয়ে মৃতের পরিবারের হাতে নগদ কুড়ি হাজার টাকা সহ আনুষঙ্গিক কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় চাল, ডাল, তৈল দিয়ে পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছেন।
তবে ম্যানেজার পীযুষ বাবু শুধু কেবল নগদ অর্থ রাশি দিয়েই দায়িত্ব শেষ করে দেন নি, সেই পরিবারের বর্তমান হাল ধরার জন্য, পাশাপাশি দুটি মেয়ে তানজিনা এবং সানিয়ার পড়াশুনাতে যেন কোন ধরনের ব্যাঘাত না ঘটে, তার জন্য ছেলে সাদ্দাম হোসেনকে বক্সনগর বিদ্যুৎ অফিসের দৈনিক কাজের সুজুগ করে দিয়েছেন। এই অসহায় পরিবারের প্রতি ম্যানেজার বাবুর এমন মানবিকতায় এলাকাবাসী সকলেই প্রশংসা করছেন।
0 মন্তব্যসমূহ