ধর্ষিতা যুবতীর বাবা মা নেই, ঘরে একমাত্র ছোট একটি ভাই রয়েছে। আর তারই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নরপিচাশ মোহন গৌড় পাশবিক লালসা চরিতার্থ করে। তারপর টানা দশ দিন পঞ্চায়েত সালিশি সভা ও হুমকির মাধ্যমে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায় অভিযুক্ত ধর্ষণকারী মোহন গৌড়।
অবশেষে ১২ মে ধর্ষিতা যুবতী কদমতলা থানার দ্বারস্থ হয়ে অভিযুক্ত মোহন গৌড়ের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণের মামলা রুজু করেন। কদমতলা থানার পুলিশ লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ২৬ নম্বরের ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৫৭/৩৭৬/৫০৬ ধারায় মামলা হাতে নিয়ে অভিযুক্ত ধর্ষণকারী মোহন গৌড়কে গ্রেফতার করে জেলা আদালতে প্রেরণ করেন।
জেলা আদালতের মাননীয় বিচারক ধৃত ধর্ষণকারী মোহন গৌড়কে ১১ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। বর্তমানে ধর্ষণকারী জেল হেফাজতে রয়েছে। এদিকে শুক্রবার ধর্ষিতা যুবতীর খোঁজ খবর নিতে সরজমিনে যুবতীর বাড়িতে ছুটে যান রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী।
ধর্ষিতা যুবতীর বাড়িতে গিয়ে ধর্ষিতা যুবতীসহ তার আত্মীয় পরিজনদের সাথে বিশদে আলোচনা করেন ও ঘটনাবলী লিপিবদ্ধ করেন। পাশাপাশি রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্ত ধর্ষণকারীর মোহন গৌড়ের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি তোলেন।
তাছাড়া মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী আরো জানান, রাজ্য মহিলা কমিশন ধর্ষিতা যুবতীর ন্যায় বিচার পাওয়ার স্বার্থে সর্বদা পাশে থাকবে। এখন দেখার বিষয়, পিতৃ মাতৃ হারা অনাথ ধর্ষিতা যুবতী কতটুকু ন্যায় বিচার পান।
0 মন্তব্যসমূহ