চুরাইবাড়ি প্রতিনিধি:- ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, গত ১১ মে উত্তর জেলার কদমতলা থানাধীন সরলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বামুনিয়া এলাকার ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাকেশ নাথের পিতা কামিনী নাথের সাথে তার ভাই ইরেশ নাথের বাড়ির সীমানায় বেড়া দেওয়া নিয়ে বাকবিতন্ডা শুরু হয়।
রাকেশ নাথ উনার নিজের সীমানায় বেড়া দেওয়াতে লাগলে তার ভাই ইরেশ নাথ ও তার ছেলে সৌরভ নাথ রাকেশ নাথকে বেড়া দিতে বাধা প্রদান করে ও পরে ধারালো দা দিয়ে পিতা-পুত্র মিলে রাকেশ নাথের উপর দুর্বৃত্তের মতো হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
আর তাতে শরীরের বিভিন্ন অংশে দায়ের কোপে গুরুত্ব ভাবে কেটে যায়। পিতাকে বাঁচাতে এসে রাকেশ নাথের দুই মেয়ে সোমা নাথ ও রত্না নাথ গুরুত্বর ভাবে দায়ের কোপে রক্তাক্ত হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রক্ত লুপ্ত রাকেশ নাথ ও তার দুই কন্যাকে কদমতলা সামাজিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে অন্যত্র রেফার করেন।
জানা গেছে গৃহস্থ রাকেশ নাথ ও তার দুই মেয়ের শরীরে দায়ের আঘাতের জখম গুরুতর হয়েছে। এদিকে আহতদের পরিবারের তরফ থেকে কদমতলা থানায় অভিযুক্ত ইরেশ নাথ ও তার ছেলে সৌরভ নাথের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। কদমতলা থানার পুলিশ মামলাটি হাতে নিয়ে অভিযুক্ত আক্রমণকারী ইরেশ নাথ ও তার ছেলে সৌরভ নাথকে গ্রেপ্তার করে ধর্মনগর জেলা আদালতে প্রেরণ করেছেন।
অপরদিকে আজ রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী গুরুতরভাবে আহত রাকেশ নাথের বাড়িতে তাদের খোজ খবর নিতে ছুটে যান। কথা বলেন পিতা রাকেশ নাথ ও তার দুই মেয়ে সুমা নাথ ও রত্না নাথের সাথে। চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন যে, আহত রাকেশ নাথের বাড়ির সীমানা নিয়ে তার আপন ভাই ইরেশ নাথের দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা চলছিল।
আর গত ১১ মে বাড়ির জায়গার সীমানা উপর বেড়া দেওয়া শুরু করলে রাকেশ নাথের উপর তার ভাই ইরেশ নাথ ও ভাইয়ের ছেলে সৌরভ নাথ দুর্বৃত্তের মত ধারালো দা দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। তবে আহত রাকেশ নাথ ও তার দুই মেয়ের ন্যায় বিচার পাবার জন্য জোরালো দাবি জানাচ্ছেন রাজ্যের মহিলা কমিশন। আজকের রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামীর সফরে উনার সাথে সঙ্গ দেন কদমতলা থানার ওসি কৃষ্ণধন সরকার।
0 মন্তব্যসমূহ