নিজ ঘর থেকেই এক ব্যক্তির আগুনে ঝলসানো মৃতদেহ উদ্ধার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য।ঘটনার তেলিয়ামুড়া থানাধীন নয়নপুর চামপ্লাই এলাকায় ।ঘটনার বিবরণে জানা যায়,তেলিয়ামুড়া থানাধীন নয়নপুর চাম প্লাই এলাকার বাসিন্দা সতীশ চন্দ্র বিশ্বাসের ৪৫ বছর বয়সী ছেলে সজল বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ছিল।
ফলে তার স্ত্রীর সাথে প্রায়শই ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত। এই ঝগড়া বিবাদ অনেক সময় হাতা-হাতিতেও রূপ নিয়েছিল। সজলের স্ত্রী ও দুই পুত্র নিয়ে চারজনের সংসার। আগে টমটম চালাতো সে, কিন্তু বর্তমানে সে স্থানীয় ইটভাটায় দিনমজুর হিসেবে কাজ করতো।
সজলের স্ত্রী এবং বড়ো পুত্র টুটনের সাথে হামেশাই ঝগড়া-বিবাদ এবং সংসারে অশান্তি লেগে থাকত। ফলে বাধ্য হয়ে সজলের স্ত্রী এবং বড় ছেলে টুটন নয়নপুর চামপ্লাই স্থিত বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র থাকতো। আর সজল তার ছোট ছেলের সাথে চামপ্লাই স্থিত নিজ বাড়িতে থাকতো।
একই বাড়িতে সজলের মা এবং বাবা আলাদা থাকতো।শনিবার বিকাল আনুমানিক তিনটা নাগাদ এলাকাবাসীরা প্রত্যক্ষ করে সজল যে ঘরে থাকতো সেই ঘরে আগুনের লেলিহান শিখা জ্বলজ্বল করছে। এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করে এলাকাবাসীরা খবর দেয় তেলিয়ামুড়া অগ্নিনির্বাপক দপ্তরে। কিন্তু তেলিয়ামুড়া মহকুমা একই নামে দুটো জায়গা থাকায় তারা বিভ্রান্তিতে পরে যায়। এবং এলাকায় তেমন ভালো রাস্তাঘাট না থাকার দরুন ঘটনাস্থলে যেতে অগ্নিনির্বাপক দপ্তরকে বেশ বেগ পেতে হয়।
পরে বাধ্য হয়ে এলাকাবাসীরা নিজ প্রচেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে। যদিও এলাকাবাসীরা সজলকে বাঁচাতে ব্যর্থ হয়। ঘটনার খবর আসে তেলিয়ামুড়া থানায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় তেলিয়ামুড়া থানার এসআই শ্যামল দাসের নেতৃত্বে পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ সজলের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। যদিও পুলিশ একটি মৃত্যু মামলা গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করেছে। রবিবার ময়নাতদন্তের পর সজলের মৃতদেহ পরিবার-পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।
0 মন্তব্যসমূহ