তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ বন্যহাতির তাণ্ডব থেকে রেহাই পেতে বনদপ্তরের প্রতি আস্থা হারিয়ে শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বসল তেলিয়ামুড়া চাকমা ঘাট মহকুমা শাসকের কার্যালয়ের সামনে। জাতীয় সড়ক অবরোধের ফলে আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের দুপাশে বিশাল সংখ্যক যাত্রীবাহী গাড়ি আটকা পড়ে যায়। অবরোধকারীদের দাবি যতক্ষণ পর্যন্ত মহকুমা শাসক এবং বন দপ্তরের আধিকারিক অবরোধ স্তলে পৌঁছে বন্য হাতির তাণ্ডব থেকে রেহাই পেতে নিশ্চিন্ত রাতে ঘুমানোর প্রতিশ্রুতি না দিলে এবং স্থায়ী সমাধানের প্রতিশ্রুতি না দিলে জাতীয় সড়ক অবরোধ চলবে।
জানা যায়, প্রতি বছরই শুখা মরসুমে তেলিয়ামুড়া মহকুমার বিভিন্ন জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে খাদ্যের সন্ধানে বন্য দাঁতাল হাতির দল তাণ্ডব চালায়। এবছরও চলছে বন্যহাতির তাণ্ডব। ক্ষেতের ধান, কলাগাছ , সব্জি ক্ষেত, রাবার বাগান ধ্বংসের পর এবার বাড়িঘরে হামলা চালাচ্ছে বন্য হাতির দল।গত কয়েকদিন ধরে বন্য হাতির দল বাড়িঘর ভাঙচুর সহ এলাকা গুলোতে আক্রমণ চালালে বনকর্মীদের বার বার ফোন করা সত্ত্বেও তারা ঐ এলাকাতে যেতে নারাজ।
বন্যহাতির তাণ্ডব থেকে রেহাই পেতে শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীরা রাস্তা অবরোধে নামতে বাধ্য হয়। অবশেষে অবরোধ স্থলে এসে হাজির হয় তেলিয়ামুড়া মহকুমা শাসক ভাস্বর ভট্টাচার্য্য এবং খোয়াই জেলা বন আধিকারিক ডক্টর নিরাজ কুমার চঞ্চল সহ বিশাল পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী। পরে অবরোধ কারীদের সাথে মহকুমা শাসক এবং খোয়াই জেলা বন আধিকারিকের দফায় দফায় আলোচনার শেষে অবরোধ মুক্ত হয় জাতীয় সড়ক।
এলাকাবাসীদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় আগামী ১৫ দিনের মধ্যে হাতির সমস্যা সমাধানে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এলাকা বাসীদের তরফ থেকে জানানো হয় , যদি ১৫ দিনের মধ্যে কোন স্থায়ী সমাধান না হয় তবে বৃহত্তর থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে তারা যেতে বাধ্য হবে।
0 মন্তব্যসমূহ