ধর্মনগর প্রতিনিধিঃ বেশ কয়েকদিন যাবত ধর্মনগর মহকুমায় পুলিশের জালে ধরা পরছে বেশ কয়েকজন নেশা কারবারি। কখনো নেশার ট্যাবলেট ইয়াবা তো কখনো নেশার কফসিরাফ এসকাফ সমেত। তা থেকে বোঝাই যায় যে সমগ্র উত্তর জেলা জুড়ে রমরমিয়ে চলছে নেসার সাম্রাজ্য। তবে মানুষের অভিমত এই সাম্রাজ্য দমনে জেলায় পুলিশি তৎপরতা আরো বাড়ানো দরকার। যদিও মাঝে মধ্যে জেলার পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে কিছু নেশা বিরোধী অভিযান চললেও পুলিশ প্রায় শীতঘুমেই কাটান অধিকাংশ সময়। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যুবকেরা নেশার পেশায় মত্ত। যেমন সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় এলাকাবাসীদের খবরের ভিত্তিতে উত্তরের জেলাশাসকের অফিস কার্যালয় সংলগ্ন এলাকার একটি গলিপথ থেকে ২২৮ বোতল নেশাজাতীয় এস্কাফ কফসিরাপ সমেত এক দাগি আসামি নেশকাবারীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় ধর্মনগর থানার পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া নেশাকাবারীর নাম রিন্টু দাস তার বাড়ি ঊনকোটি জেলার কৈলাসহরে। দীর্ঘদিন যাবত ধর্মনগর আলগাপুর রোডে ভাড়া বাড়িতে থাকে সে।জানা গেছে পূর্বেও নেশাজাতীয় কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকা সহ একাধিক চুরির মামলার দায়ে পুলিশ তাকে বহুবার গ্রেপ্তার করেছিল। এখনো বিভিন্ন থানায় তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে। বিগত দিনেও সে বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পরে থানা থেকে ছাড়া পেয়ে আবারো সে বিভিন্ন ধরনের নেশাজাতীয় বাণিজ্যে লিপ্ত হয়ে পরে।
বর্তমানে সে পুলিশি জেরায় ধর্মনগর থানার হেফাজতে রয়েছে। আজকের এই অভিযান সম্বন্ধে ধর্মনগরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আইপিএস কান্তা জানঙ্গীর জানান।সোমবার বিকেল থেকেই কারবারি রিন্টু দাস ধর্মনগর স্থিত জেলা শাসক কার্যালয়ের ধারে তথা অফিসটিলা কালী বাড়ি সংলগ্ন গলিপথে হাঁটাহাটি করছিল সে।
ঐ গলি পথটিতে দুটি ব্যাগ ও দেখতে পায় স্থানীয়রা। তখন থেকেই এলাকার লোকজনের তার উপর সন্দেহ হয়। একটা সময় সে ঐ ব্যাগ গুলো নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা ব্যাগ ভর্তি এস্কাফ সহ তাকে ধরে ফেলে। তার পর পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
0 মন্তব্যসমূহ